ক্যাম্বোডিয়ার অনলাইন স্ক্যাম কেন্দ্রে জড়িত সন্দেহে আটক করা কয়েক ডজন দক্ষিণ কোরিয়ান শনিবার দেশে ফিরেছেন। তাদের দেশে ফেরানো হয়েছে একটি চার্টার্ড বিমানে, যেখানে তারা দেশীয় তদন্তের মুখোমুখি হবেন।
ফেরার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ক্যাম্বোডিয়ার রাজধানী ফনোম পেনে। দক্ষিণ কোরিয়ার শিক্ষার্থীর মৃত্যু, যিনি স্ক্যাম কেন্দ্রে কাজ করতে বাধ্য হয়েছিলেন বলে জানা গেছে, তা দেশজুড়ে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছিল।
ক্যাম্বোডিয়ার অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র টচ সোখাক জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে মোট ৬৪ জন দক্ষিণ কোরিয়ান ফেরত পাঠানো হয়েছে।
সেখান থেকে বিমানের অবতরণের পর, আসামিদের হাতকড়া পরানো অবস্থায় পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং নিরাপত্তা যানবাহনের মাধ্যমে থানায় স্থানান্তর করা হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিচালক উই সঙ-লাক বলেছেন, ফেরত আসাদের অধিকাংশকে ক্যাম্বোডিয়ার স্ক্যাম কেন্দ্রগুলোতে পুলিশী অভিযান চলাকালীন আটক করা হয়েছিল। তদন্তে নির্ধারণ করা হবে তারা স্বেচ্ছায় এসব কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন কিনা, নাকি ভুয়া চাকরির বিজ্ঞাপনের প্রলোভনে কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন।
ক্যাম্বোডিয়ার স্ক্যাম কেন্দ্রগুলোতে প্রায় ২ লাখ কর্মী রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ১,০০০ দক্ষিণ কোরিয়ান। COVID-19 মহামারির পর অনলাইন স্ক্যামের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং শুক্রবার জরুরি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন যাতে কেবল ক্যাম্বোডিয়ায় নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশে ভুয়া চাকরির বিজ্ঞাপন দ্রুত অপসারণ করা যায়।
মধ্যপ্রাচ্য, পশ্চিম আফ্রিকা এবং মধ্য আমেরিকাতেও নতুন স্ক্যাম কেন্দ্রের তথ্য পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণকারীরা জানিয়েছেন, অনলাইন স্ক্যাম আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্রকে বার্ষিক বিলিয়ন ডলার আয় দেয়।