যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে হুন্ডাই কারখানায় কাজ করা দক্ষিণ কোরীয় নাগরিকদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখবে সিউল। সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র।
গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত অভিযানে প্রায় ৪৭৫ জন শ্রমিককে গ্রেপ্তার করে মার্কিন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যকই ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক। অভিযোগ করা হয়, অনেক শ্রমিক ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবস্থান করেছেন অথবা যে ভিসা তাদের কাছে ছিল তা দিয়ে শারীরিক পরিশ্রমমূলক কাজ করার অনুমতি ছিল না।
খবরে বলা হয়, প্রায় ৩০০ কোরীয় শ্রমিককে এক সপ্তাহের মতো আটক রাখার পর তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এ ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ায় তীব্র সমালোচনা তৈরি হয়েছে। প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং বলেছেন, এই ধরনের গ্রেপ্তার যুক্তরাষ্ট্রে ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে পারে।
দেশটির বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়নও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চেয়েছে। কারণ গত জুলাইয়ে ওয়াশিংটনে বড় ধরনের বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছিল সিউল, যা ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক আরোপ এড়ানোর কৌশলের অংশ ছিল।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ভয় দেখাতে চান না। ট্রাম্প তার Truth Social প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, “আমরা বিদেশি বিশেষজ্ঞদের স্বাগত জানাই, তাদের কাছ থেকে শিখতে চাই এবং ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু করতে চাই।”
তবে তিনি নির্দিষ্ট কোনো নীতিগত পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করেননি যা যুক্তরাষ্ট্রকে বিদেশি শ্রমিকদের জন্য আরও অনুকূল পরিবেশ করে তুলবে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও শ্রমনীতি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, বিষয়টি দ্রুত সমাধান না হলে যুক্তরাষ্ট্রে কোরীয় বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।