লর্ডসে রোমাঞ্চকর ম্যাচে মাত্র পাঁচ রানে হেরে গেল ইংল্যান্ড। বৃহস্পতিবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৩০ রানের টার্গেট দিয়ে শেষ পর্যন্ত জয় তুলে নেয়। এই জয়ের মাধ্যমে তিন ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল প্রোটিয়ারা।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ওপেনার ম্যাথিউ ব্রিটজকে খেলেন ৮৫ রানের দারুণ ইনিংস। এর মাধ্যমে তিনি ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ ইনিংসে টানা অর্ধশতক করার কীর্তি গড়েন। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা। এই ম্যাচে তার সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের মূল ভরসা ছিল।
ট্রিস্টান স্টাবসের ৫৮ রানের ইনিংস এবং ব্রিটজকের সঙ্গে ১৪৭ রানের জুটি প্রোটিয়াদের ইনিংসকে শক্ত ভিত গড়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে তোলে ৩৩০ রান। ইংল্যান্ডের জোফরা আর্চার ৪ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন, এছাড়া আদিল রশিদ নেন ২ উইকেট।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডের শুরুটা ভালো হয়নি। ওপেনার জেমি স্মিথ প্রথম বলেই শূন্য রানে আউট হন। এরপর জো রুট (৬১) ও জ্যাকব বেটেল (৫৮) ইংল্যান্ডকে লড়াইয়ে ফেরান। পরবর্তীতে অধিনায়ক জস বাটলারও ৬১ রানের ইনিংস খেললেও শেষ পর্যন্ত তা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৬ রান। আর্চার শেষ পর্যন্ত ২টি চার মারলেও লক্ষ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হন। ইংল্যান্ড ইনিংস শেষ হয় ৩২৫-৯ এ।
এই ম্যাচে দুই দলের সম্মিলিত রান ছিল ৬৫৫, যা লর্ডসে ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার নান্দ্রে বার্গার ৩ উইকেট নেন।
ম্যাচ শেষে ব্রিটজকে বলেন, “শুরুতে ব্যাটিং কঠিন ছিল, আমরা ভেবেছিলাম ২৮০ ভালো স্কোর হবে। কিন্তু ধীরে ধীরে ব্যাট করা সহজ হয়ে যায়। আমরা ইতিবাচক ব্যাটিং করতে চেয়েছিলাম এবং শেষ দিকে আরও আক্রমণাত্মক হতে পেরেছি।”
ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক বলেন, “প্রোটিয়ারা হয়তো ১০-১৫ রান বেশি করে ফেলেছিল। তবুও আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছি। এক শটে ম্যাচ ঘুরে যেত।”
তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে রবিবার, সাউদাম্পটনে।