ইনজুরি থেকে এখনও পুরোপুরি সেরে না ওঠায় আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজের ওয়ানডে দলে রাখা হয়নি সৌম্য সরকারকে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানিয়েছেন, বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারকে নিয়ে কোনো ধরনের ঝুঁকি নিতে চান না তারা।
সোমবার দল ঘোষণার পর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক এই সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ সামনে থাকায় সৌম্যকে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরানোর ব্যাপারে নির্বাচকরা তাড়াহুড়ো করতে চান না।
গাজী আশরাফ হোসেন বলেন, “গত ১২ থেকে ১৪ মাসে সৌম্য তিনটি ভিন্ন ইনজুরিতে ভুগেছে। এই বছরের শুরুতে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে সে এসিএল ইনজুরি ও মাথায় আঘাত পেয়েছিল। সেগুলো থেকে সেরে ওঠার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তার আঙুলে আরেকটি চোট লাগে, যেখানে একাধিক সেলাইয়ের প্রয়োজন হয়।”
মে মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে সৌম্যকে রাখা হলেও পিঠের ব্যথার কারণে তিনি একাদশে সুযোগ পাননি। সেই সমস্যা দীর্ঘায়িত হওয়ায় পাকিস্তান সিরিজ থেকেও তাকে ছিটকে যেতে হয়।
প্রধান নির্বাচক আরও যোগ করেন, “আমরা আশা করেছিলাম সে আরব আমিরাত সিরিজের আগেই সুস্থ হয়ে উঠবে, কিন্তু প্রক্রিয়াটি পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোয়নি। আমাদের ফিজিও তাকে পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য দলের বাইরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। এই মুহূর্তে আমরা কোনো ঝুঁকি নিতে চাই না।”
লিপু উল্লেখ করেন, টপ অর্ডারের ছয়জন ব্যাটসম্যানের মধ্যে সৌম্যই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি বোলিং করতে পারেন, যা তাকে দলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ করে তুলেছে। তার ব্যাটিং ও বোলিং দক্ষতার কারণেই তাকে পুরোপুরি ফিট অবস্থায় দলে ফেরাতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট।
তিনি বলেন, “সৌম্য এখন সুস্থ আছে, অনুশীলনও করছে। কিন্তু সামনে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ থাকায় আমরা কোনো সুযোগ নিতে পারছি না।”
শ্রীলঙ্কা সিরিজে দলে না থাকলেও নির্বাচকদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় ভালোভাবেই আছেন সৌম্য সরকার। বিশেষ করে ২০২৭ সালের আইসিসি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তাকে বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
প্রধান নির্বাচক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা অবশ্যই সৌম্যর দিকে নজর রাখছি। আমি আগেই বলেছি, সে আমাদের ২০২৭ সালের পরিকল্পনায় আছে। সে আমাদের রাডারেই আছে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে প্রত্যেককেই যোগ্য প্রার্থী হিসেবে দলে ফিরতে হবে।”
উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ তিনটি ওয়ানডে খেলবে ২, ৫ এবং ৮ জুলাই। এরপর অনুষ্ঠিত হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
