টটেনহ্যাম হটস্পারের অধিনায়ক সন হিউং-মিনকে ঘিরে নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকার (এমএলএস) ক্লাব এলএএফসি ও সৌদি আরবের প্রো লিগের একাধিক ক্লাব তার প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে। চুক্তির শেষ বছরে পা রাখা এই দক্ষিণ কোরিয়ান তারকার দলবদল নিয়ে চলছে আলোচনার ঝড়।
৩৩ বছর বয়সী সন মে মাসে ইউরোপা লিগ ট্রফি জিতে দশ বছরের শিরোপা খরা কাটান। তবে গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে মাত্র সাতটি গোল করে নিজের স্বাভাবিক ছন্দ হারান। এটি ২০১৫–১৬ মৌসুমের পর প্রথমবার, যখন তিনি লিগে দুই অঙ্কের গোল করতে ব্যর্থ হন।
প্রতিবেদন বলছে, সনের বর্তমান সাপ্তাহিক বেতন প্রায় ২ লাখ পাউন্ড। আগেও সৌদি ক্লাব আল ইত্তিহাদের সঙ্গে তার নাম জড়িয়েছিল। কারিম বেনজেমা, এন’গোলো কান্তে ও ফাবিনহোর মতো তারকা খেলোয়াড়দের দলে নেওয়া এই ক্লাব ২০২৩ সালে সনকে দলে নিতে চেয়েছিল, কিন্তু সফল হয়নি।
সম্প্রতি ‘দ্য অ্যাথলেটিক’ জানায়, এমএলএস ক্লাব এলএএফসি তাদের স্টার খেলোয়াড় ডেনিস বুয়াঙ্গার অল-স্টার ম্যাচে অংশগ্রহণের আগেই সনকে দলে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। নতুন কোচ থমাস ফ্রাঙ্কের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় সন কতটা প্রাধান্য পাবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও, ফ্রাঙ্ক বলেন, “সে এখন দলে সম্পূর্ণ মনোযোগী এবং আগামীকাল খেলবে। একজন খেলোয়াড় যদি দীর্ঘদিন ক্লাবে থাকে, তাহলে ক্লাবেরও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আসে।”
এমএলএসের সেকেন্ডারি ট্রান্সফার উইন্ডো খোলা রয়েছে ২১ আগস্ট পর্যন্ত, ফলে এলএএফসি এখনই উদ্যোগ নিতে পারে। তবে সম্ভাব্য যেকোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়তো স্পারসের পূর্ব এশিয়ার প্রাক-মৌসুম সফরের পরই আসবে।
‘দ্য টেলিগ্রাফ’ জানায়, সনের নিজ শহর সিউলে নিউক্যাসলের বিপক্ষে এক প্রীতি ম্যাচে খেলার জন্য স্পারস বাধ্যবাধকতায় রয়েছে। ওই ম্যাচে না খেললে ক্লাব প্রায় ৭৫ শতাংশ আয় হারাবে।
সন বর্তমানে তার ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে থাকলেও, এলএএফসির গতিময় কৌশলের সঙ্গে ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পারবেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ক্লাবটির নতুন কোচ ২০২৬ সালে দায়িত্ব নেবেন এবং বর্তমান কোচ স্টিভ চেরুন্দোলো মৌসুম শেষে সরে দাঁড়াবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে, অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড অলিভিয়ে জিরুদের দলত্যাগের পর সনের জন্য জায়গা তৈরি হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সনের আগমন কেবল মাঠে নয়, মার্কেটিংয়েও এলএএফসির জন্য হবে বড় এক সুবিধা। কারণ লস অ্যাঞ্জেলেসে রয়েছে এক বৃহৎ কোরিয়ান সম্প্রদায়। পাশাপাশি এমএলএস কাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার হিসেবেও এলএএফসি নিজেকে আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে।
টটেনহ্যামের হয়ে এখন পর্যন্ত ৪৫৪টি ম্যাচ খেলে সন করেছেন ১৭৩টি গোল এবং ১০১টি অ্যাসিস্ট। হ্যারি কেইনের সঙ্গে তার আক্রমণভাগের জুটি ক্লাব ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তবে বড় শিরোপা অধরাই থেকে গেছে। এখন দেখার বিষয়, এই দক্ষ উইঙ্গারের ভবিষ্যৎ ঠিক কোন পথে এগোয়।