দেশের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি (এসএসএনপি) ডিজিটাল রূপান্তরের মধ্য দিয়ে গেলেও এতে প্রযুক্তির সঙ্গে মানবিক স্পর্শের ভারসাম্য রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে বয়স্ক ভাতা কর্মসূচির ক্ষেত্রে এই সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি বলে তারা মত দিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম)-এ ‘সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ডিজিটালাইজেশন: সরকারি পরিষেবার নকশা পুনর্বিবেচনা’ শীর্ষক এক পলিসি গোলটেবিল বৈঠকে এই আলোচনা উঠে আসে।
আইসোশ্যাল-এর গবেষণা শাখা ডেটাসেন্স এবং ইউনিভার্সিটি অব এডিনবরা যৌথভাবে এই আলোচনার আয়োজন করে। এতে সরকারি প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক সংস্থা, এনজিও, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম এবং শিক্ষাবিদরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব এডিনবরার এডিনবরা ফিউচারস ইনস্টিটিউটের সিনিয়র লেকচারার ড. জুলি কারমেজি হুয়াং। এরপর প্রকল্পের গবেষণা ব্যবস্থাপক আয়নান তাজরিয়ান একজন ভাতাভোগীর অভিজ্ঞতা ডিজিটাল স্টোরিবোর্ডের মাধ্যমে তুলে ধরেন।
শ্রম সংস্কার কমিশন ২০২৪-এর চেয়ারম্যান এবং বিলস-এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ তার বক্তব্যে বলেন, বয়স্ক ভাতার যোগ্যতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে অবসরের বয়সের সঙ্গে সামঞ্জস্য আনা প্রয়োজন। তিনি আগামী এক দশক ডিজিটাল ও ম্যানুয়াল পদ্ধতির একটি হাইব্রিড সিস্টেম চালুর প্রস্তাব দেন এবং জোর দিয়ে বলেন, এই সহায়তা কোনো অনুদান নয়, এটি নাগরিকদের অধিকার।
আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্যের গরমিল, নিষ্ক্রিয় মোবাইল নম্বর এবং ফিশিং কেলেঙ্কারির মতো নানা প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরেন, যা ভাতা বিতরণে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে।
উল্লেখ্য, এই পলিসি গোলটেবিল বৈঠকটি ডেটাসেন্স এবং ইউনিভার্সিটি অব এডিনবরার মধ্যে চলমান সহযোগিতার একটি অংশ, যার লক্ষ্য বাংলাদেশে প্রমাণ-ভিত্তিক নীতিনির্ধারণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল গভর্নেন্সকে উৎসাহিত করা।
