ডেইলি প্রতিদিনের বাণী রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২০ মে ২০২৫, ১২:৫৭
শেরপুর প্রতিবেদক
ভারতের মেঘালয় ও আসাম রাজ্যে টানা ভারী বর্ষণের ফলে শেরপুর জেলার নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কয়েকটি নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে। এতে আকস্মিক বন্যার শঙ্কায় রয়েছেন জেলার নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা।
সোমেশ্বরী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় নির্মাণাধীন চাপাতলী সেতুর পার্শ্ববর্তী নিচু এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। এতে আশপাশের কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সোমবার (১৯ মে) বিকেল ৪টার তথ্য অনুযায়ী জানিয়েছে, ভোগাই নদীর পানি এখনো বিপদসীমার ৩১৫ সেন্টিমিটার নিচে এবং চেল্লাখালী নদীর পানি ২৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, আগামী ২০ মে পর্যন্ত জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে। এতে জনজীবন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি কৃষিখাতে বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, যেসব এলাকায় ধান ৮০ শতাংশের বেশি পেকে গেছে, সেইসব এলাকায় দ্রুত ধান কেটে উঁচু স্থানে সংরক্ষণের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ইতোমধ্যে মাইকিং শুরু হয়েছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, “বৃষ্টি বেশি হওয়ায় পানি কিছুটা বেড়েছে। তবে এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।”
জেলার প্রশাসন, কৃষি বিভাগ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সমন্বিতভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানা গেছে। পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।