আইপিএল ২০২৫-এর ফাইনাল ম্যাচে পাঞ্জাব কিংস হারলেও আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন শশাঙ্ক সিং। শেষ মুহূর্তে রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতিতে ৩০ বলে অপরাজিত ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ক্রিকেটবিশ্বের নজর কেড়েছেন এই ৩৩ বছর বয়সী ব্যাটার। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিপক্ষে ছয় রানে হেরে গেলেও তার লড়াকু ইনিংস নতুন করে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
আইপিএল শুরুর আগেই সাহসী ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন শশাঙ্ক, তার দল পাঞ্জাব কিংস লীগ পর্বে শীর্ষ দুইয়ে থাকবে। কথার সত্যতা মিলেছিল মাঠেও। শ্রেয়াস আইয়ারের নেতৃত্বে দলটি লিগের শীর্ষে থেকেই ফাইনালে উঠেছিল। তবে ফাইনালসহ দুইবারই হেরেছে কোহলির আরসিবির কাছে।
ফাইনালের চাপের ম্যাচে যখন পাঞ্জাবের ব্যাটিং লাইনআপ ধুঁকছিল, তখন ব্যাট হাতে উদয় হন শশাঙ্ক। একের পর এক বাউন্ডারিতে ম্যাচে ফেরান দলকে। ৩০ বলে ৬১ রানের ইনিংসে তার স্ট্রাইক রেট ছিল ২০৩.৩৩। যদিও শেষ হাসি হাসতে পারেননি, কিন্তু তার পারফরম্যান্স অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিয়েছে।
২০২৫ আইপিএলে ১৪ ইনিংসে ৩৫০ রান করেছেন তিনি, স্ট্রাইক রেট ১৫৩.৫০। এমন পারফরম্যান্স নির্বাচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ না করে পারে না। ভারতের ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াড গঠনের আগে শেষ মুহূর্তে একটি স্পট পেতে পারেন শশাঙ্ক। রিঙ্কু সিং কিংবা শিবম দুবের মতো ফিনিশাররা সাম্প্রতিক ম্যাচে সেভাবে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি। সেখানে শশাঙ্ক হয়ে উঠেছেন নতুন বিকল্প।
ভারতের প্রয়োজনে একজন আত্মবিশ্বাসী ফিনিশার চাই। আগামী বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজেই দেখা যেতে পারে শশাঙ্ককে। যদিও এই যাত্রা তার জন্য সহজ ছিল না। ২০২৪ সালের নিলামে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল একই নামে দুই খেলোয়াড় থাকায়। দল বুঝতে পারেনি সঠিক শশাঙ্ককে কিনেছে কি না। কিন্তু মাঠে পারফরম্যান্স দিয়ে সেই সংশয় দূর করেছেন তিনি। ২০২৫ সালে ৫.৫ কোটি টাকায় তাকে ধরে রাখে পাঞ্জাব কিংস।
সবশেষ ইনিংসটি প্রমাণ করল, বয়স কেবল সংখ্যা। ইচ্ছা আর সামর্থ্য থাকলে নিজেকে প্রমাণ করা যায় যেকোনো পরিস্থিতিতে। জাতীয় দলের দরজায় এখন জোরে কড়া নাড়ছেন শশাঙ্ক সিং।