দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত হওয়া সাবেক উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) শরীফ উদ্দিনকে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেছে আদালত।
বুধবার বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে এই রায় দেওয়া হয় বলে জানান শরীফ উদ্দিনের আইনজীবী মো. সালাহ উদ্দিন ডোলন।
রায় ঘোষণার সময় শরীফ উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত রায়ে বলেছেন, রায়ের কপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে শরীফ উদ্দিনকে তার পূর্ববর্তী পদে পুনর্বহাল করতে হবে এবং যোগদানের সময় তার পদমর্যাদা ও অন্যান্য সুবিধাও নিশ্চিত করতে হবে।
২০২২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কোনো কারণ না দেখিয়ে শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দুদক। এই বরখাস্তের খবর ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এক মাস পর, ১৩ মার্চ শরীফ উদ্দিন হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন, যেখানে তিনি তার পুনর্বহালের আবেদন জানান।
২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক শুনানির পর আদালত এক রুল জারি করেন এবং জানতে চান কেন তার বরখাস্তকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং কেন তাকে পুনর্বহাল করা হবে না।
চলতি বছরের মঙ্গলবার রুলের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয় এবং বুধবার রায় ঘোষণা করা হয়।
এই রায় প্রসঙ্গে দুদকের আইনজীবী আসিফ হাসান বলেন, রায়ের কপি পাওয়ার পর কমিশনকে জানানো হবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে আপিল করা হবে কি না, তা তারা নির্ধারণ করবেন।
দীর্ঘদিন দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধানে নিয়োজিত থেকে আলোচনায় আসেন শরীফ উদ্দিন। তার বরখাস্তের ঘটনায় যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছিল, তা দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল।
হাইকোর্টের এই রায় অনেকের কাছে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং কর্মচারীদের ন্যায়ের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, আদেশ অনুযায়ী কত দ্রুত শরীফ উদ্দিনকে তার পদে ফিরিয়ে আনা হয়।