ঘরের মাঠে বাংলাদেশ যখনই খেলতে নামে, উইকেট নিয়ে আলোচনা অবধারিত। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেটে ইনিংস ও ৪৭ রানের বড় ব্যবধানে জয়ের পরেও তার ব্যতিক্রম হলো না। তবে যে উইকেটে স্পিন, পেস এবং ব্যাটিংয়ের দারুণ প্রদর্শনী দেখা গেছে, সেই ধরনের ‘স্পোর্টিং উইকেট’ ভবিষ্যতেও দেখতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, অবশ্যই। আমরা এটাই চাই। এমন নয় যে আমরা স্পিন-বান্ধব উইকেট চেয়েছিলাম। আমরা একটি স্পোর্টিং উইকেট চেয়েছিলাম এবং সেটাই পেয়েছি। তিন-চার দিন পরেও উইকেটটি বেশ ভালো ছিল।”
তবে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিষয়টি আরও ব্যাখ্যা করে বলেন, প্রতিপক্ষের শক্তি ও দুর্বলতার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। শান্তর মতে, “এটা প্রতিপক্ষের ওপর নির্ভর করে। তবে আমি সবসময় বিশ্বাস করি, সুযোগ থাকলে স্পোর্টিং উইকেটে খেলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে দিন শেষে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, এটি আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেট।”
তিনি যোগ করেন, “সুতরাং, ম্যাচ জেতাটাও জরুরি। জেতার জন্য যে ধরনের সুবিধা নেওয়া দরকার, তা নিতেই হবে। তবে আমি মনে করি, স্পোর্টিং উইকেট খুবই ভালো। এই ম্যাচের উইকেটটি ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ ছিল এবং বোলারদের জন্যও সাহায্য ছিল, পেসার থেকে স্পিনার পর্যন্ত সবাই সুবিধা পেয়েছে।”
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টটি ১৯ নভেম্বর থেকে মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে, যা ঐতিহ্যগতভাবে স্পিন-বান্ধব হিসেবে পরিচিত। সেই চ্যালেঞ্জের জন্য এখন থেকেই পরিকল্পনা করছেন শান্ত। তিনি বলেন, “মিরপুরে যেকোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে, যেকোনো বোলিং আক্রমণের সামনেই চ্যালেঞ্জ থাকে। এই চ্যালেঞ্জটা থাকবেই, কিন্তু আমরা কীভাবে তা মোকাবেলা করি সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচে যেভাবে খেলেছি, আশা করি সেই আত্মবিশ্বাস মিরপুরে কাজে লাগবে।”
এদিকে, মিরপুর টেস্টটি হতে যাচ্ছে মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্ট ম্যাচ। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করবেন তিনি। এই বিশেষ উপলক্ষ ঘিরে অধিনায়ক ও পুরো দল বেশ উচ্ছ্বসিত।
শান্ত বলেন, “এটি অবশ্যই একটি অনেক বড় অর্জন। আমি খুবই উত্তেজিত। আমরা খেলোয়াড় হিসেবে সেই দিনটি বা পুরো পাঁচ দিন উপভোগ করতে চাই।
এমন একজন ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া উচিত। অধিনায়ক হিসেবে আমি সেই চেষ্টা করব। আমি আশা করি, মুশফিক ভাই শততম ম্যাচ খেলার পরেও দলের হয়ে আরও খেলবেন। কারণ আমাদের টেস্ট দলে এমন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় প্রয়োজন।”
