বাংলাদেশ জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন গালিব।
জানা গেছে, যাঁদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, তারা সরকারের আর্থিক নীতিমালা ও শেয়ারবাজার আইন লঙ্ঘন করে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ সঞ্চয়ের অভিযোগে অভিযুক্ত।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অন্য ব্যক্তিরা হলেন: সমবায় অধিদপ্তরের উপ-নিবন্ধক আবুল খায়ের, কাজী সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাদবর, কানিকা আফরোজ, মোহাম্মদ বশর, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজী ফুয়াদ হাসান, কাজী ফরিদ হাসান, শিরিন আখতার, জাভেদ এ. মাতিন, জাহেদ কামাল, হুমায়ুন কবীর ও তানভীর নিজাম।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঢাকার একটি আদালত সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল।
২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মাগুরা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাকিব। তবে একই বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা হারালে তিনি কানাডা সফরে যান এবং আর দেশে ফেরেননি।
দুদক জানায়, তদন্তে উঠে এসেছে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সরকারি অনুমোদন ছাড়া বিভিন্ন বিনিয়োগ, আর্থিক লেনদেনে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই আদালতের কাছে বিদেশযাত্রা নিষিদ্ধ করার আবেদন জানানো হয়।
এই নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে সাকিবসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশত্যাগ করতে পারবেন না। তদন্তের স্বার্থে এমন পদক্ষেপ জরুরি ছিল বলে মত তদন্ত সংস্থার।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাকিব আল হাসানের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনসহ রাজনৈতিক মহলেও ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। তদন্তের অগ্রগতি অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দুদক।