ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে বৃহস্পতিবার শাহবাগ মোড় থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল পর্যন্ত সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রদল। সকাল থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি চলে টানা সাত ঘণ্টা, যার ফলে শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।
সকাল সাড়ে ৯টা থেকেই ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা শাহবাগ মোড় ও ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে জড়ো হতে থাকেন। সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে শুরু হয় অবস্থান কর্মসূচি।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সড়কে বসে হত্যার বিচারের দাবিতে স্লোগান দেন। ‘আর চাই না এনএসআইয়ের প্রক্টর’, ‘ক্যাম্পাসে লাশ ঝোলে, প্রক্টর কী করে’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’ এই ধরনের নানা স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে শাহবাগ এলাকা।
অবরোধের ফলে ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, মৎস্য ভবন, বাংলামোটর, কাঁটাবন, এলিফ্যান্ট রোড, হাতিরপুল ও কাকরাইলসহ আশপাশের এলাকায় যানজট চরম আকার ধারণ করে। অফিসগামী মানুষ, শিক্ষার্থী ও সাধারণ পথচারীদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে।
বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ ছেড়ে যান, ফলে যান চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়।
ছাত্রদলের নেতারা অভিযোগ করেন, শাহরিয়ার সাম্য হত্যাকাণ্ডের পর এতদিন পেরিয়ে গেলেও মূল আসামিদের গ্রেফতার করা হয়নি এবং বিচার কার্যক্রমে দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘প্রশাসন আমাদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছে। আমরা স্পষ্ট অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না। এভাবে চলতে থাকলে আমরা আরও বৃহত্তর কর্মসূচির দিকে যাব।’
দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুধু শাহবাগে নয়, দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হবে।
উল্লেখ্য, আগের দিন বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সামনেও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিলেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। সেদিন তাঁরা প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন।
নেতাকর্মীদের মতে, সাম্য হত্যার বিচার না হওয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীনতার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। দ্রুত তদন্ত, গ্রেফতার ও বিচার না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানান তাঁরা।
