বিনোদন ডেস্ক: আসন্ন ঈদুল আজহায় বাংলা সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে সাতটি চলচ্চিত্র। প্রথমে নয়টি সিনেমা মুক্তির সম্ভাবনার কথা শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত তালিকা দাঁড়িয়েছে সাতটিতে। ‘শিরোনাম’ ও ‘নাদান’ সিনেমা দুটির নাম বাদ পড়েছে চূড়ান্ত তালিকা থেকে। তবে এবারের ঈদেও বড় পর্দায় থাকছেন মেগাস্টার শাকিব খান, আর তার বিপরীতে থাকছে একাধিক নতুন মুখ ও পরিচিত তারকা।
সিনেমা ‘তাণ্ডব’ নিয়ে শাকিব খান এবার ঈদে পর্দা মাতাতে প্রস্তুত। ছবিতে তার বিপরীতে থাকছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর, যার এটি বড় পর্দায় অভিষেক। একই ছবিতে সাংবাদিক চরিত্রে অভিনয় করছেন দুই বাংলার প্রশংসিত অভিনেত্রী জয়া আহসান।
আরিফিন শুভ অভিনীত ‘নীল চক্র’ সিনেমাটিও ঈদে মুক্তি পাচ্ছে। এটি একটি সাইবার ক্রাইম থ্রিলার ঘরানার সিনেমা। এতে শুভর বিপরীতে অভিনয় করেছেন মন্দিরা চক্রবর্তী। পরিচালনা করেছেন মিঠু খান। সিনেমাটিতে ইন্টারনেট জগতের অন্ধকার দিক এবং সাইবার অপরাধের প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে।
ঈদের তালিকায় রয়েছে ‘প্যানিক’ নামে একটি থ্রিলার ছবি, যেটি পরিচালনা করেছেন জাহিদ জুয়েল। এখানে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শবনম বুবলি ও আদর আজাদ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ছবিটি এবারের কোরবানির ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
এছাড়া আজমেরী হক বাঁধনের ‘এষা: মার্ডার কর্মফল’ নামের ছবিটিও ঈদ উপলক্ষে মুক্তির জন্য প্রস্তুত। ছবির নির্মাতা সানি সরোয়ার একজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং পূর্বে ‘মিশন এক্সট্রিম’ ও ‘ব্ল্যাক ওয়ার’ নির্মাণে যুক্ত ছিলেন। এই ছবিতেও বাঁধনকে দেখা যাবে একজন পুলিশ অফিসারের চরিত্রে। ছবির কাহিনিতে একই জেলায় সংঘটিত তিনটি খুনের তদন্ত উঠে এসেছে।
‘ইনসাফ’ নামের সিনেমাটি নিয়ে আসছেন শরিফুল রাজ ও তাসনিয়া ফারিন। এখানে খল চরিত্রে দেখা যাবে মোশাররফ করিমকে। সঞ্জয় সমাজদারের পরিচালনায় নির্মিত সিনেমাটি থ্রিলার ও অ্যাকশন ঘরানার।
ঈদের সিনেমা তালিকায় রয়েছে ‘জুইতা আমার বউ’। এখানে পূজা চেরী ও আদর আজাদ জুটিবদ্ধ হয়েছেন দ্বিতীয়বারের মতো। ছবির পরিচালক আলুক হাসান এবং সংলাপ লিখেছেন মামুনুর রশিদ তানি।
সবশেষে রয়েছে তানিম নূরের নতুন সিনেমা ‘উৎসব’। এটি চার্লস ডিকেন্সের বিখ্যাত উপন্যাস ‘ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে নির্মিত। ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন খ্যাতিমান অভিনেতা জাহিদ হাসান। সিনেমাটিতে আরও থাকছে দেশের শীর্ষস্থানীয় কিছু অভিনেতা ও সংগীতশিল্পীর উপস্থিতি।
সব মিলিয়ে ঈদুল আজহায় মুক্তি পেতে যাওয়া সাতটি সিনেমা নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ তুঙ্গে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব বৈচিত্র্যময় গল্প ও চরিত্র সমৃদ্ধ সিনেমাগুলো যদি উপস্থাপনায় মান বজায় রাখতে পারে, তবে এটি বাংলা সিনেমার পুনরুজ্জীবনে বড় অবদান রাখতে পারে।