শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজের দলে স্থান না পেলেও তরুণ স্পিনার রাকিবুল হাসান জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
সোমবার দল ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিপু এবং নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক জানান, ২২ বছর বয়সী এই বাঁহাতি স্পিনারকে ঘিরে বিসিবির দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা রয়েছে এবং তার উন্নতির জন্য সময় নেওয়া হচ্ছে।
লিপু বলেন, “রাকিবুল আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক খেলোয়াড়। তার বয়স কম, প্রতিভা আছে। আমরা তাকে উপেক্ষা করছি না। বরং গত এক বছরে আমরা তাকে কীভাবে প্রস্তুত করছি, সেটাই প্রমাণ করে তার গুরুত্ব কতটা।”
২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশ দলের সদস্য এবং ২০২২ সালে যুব দলের অধিনায়ক ছিলেন রাকিবুল। সদ্য শেষ হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর হয়ে ১৬ ম্যাচে ৩০ উইকেট নিয়ে ছিলেন যুগ্মভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। তার বোলিং গড় ছিল ১৭.০৬ এবং ইকোনমি রেট মাত্র ৩.৮৭।
তবে জাতীয় দলে সরাসরি না এনে তাকে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটে রেখে উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যেতে চায় নির্বাচকরা। লিপু জানান, এইচপিতে স্পিন কোচ আরশাদ খানের অধীনে প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন রাকিবুল এবং তার দক্ষতা উন্নত হয়েছে বলে নিজেই জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সৌম্যকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নয়, শ্রীলঙ্কা সিরিজে নেই এই অলরাউন্ডার
সাবেক জাতীয় দলের বাঁহাতি স্পিনার ও বর্তমান নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “এক বছরে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ায় কাউকে সরাসরি জাতীয় দলে নেওয়াটা সঠিক সিদ্ধান্ত নাও হতে পারে। রাকিবুল ধারাবাহিকভাবে ভালো করছে। আমরা চাই, সে যেন পাকা প্রস্তুতি নিয়ে দলে ঢুকে দীর্ঘ সময় খেলতে পারে।”
তিনি আরও জানান, রাকিবুল বর্তমানে তানভীর ইসলাম ও নাসুম আহমেদের পরের বিকল্প হিসেবে নজরদারিতে রয়েছেন। “আমরা তানভীর ও নাসুমকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলাচ্ছি, কিন্তু রাকিবুলকেও শক্ত ভিত গড়ে তুলতে সময় দিচ্ছি। যেন সে হঠাৎ দলে এসে আবার বাদ পড়ে না যায়।”
শুধু বোলিং নয়, ব্যাটিংয়েও উন্নতির ছাপ রাখছেন রাকিবুল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ এমার্জিং দলের হয়ে রাজশাহীতে একটি ম্যাচে ৪০ বলে ৪২ রান এবং আরেক ম্যাচে ১০ বলে ২৪ রান করেন।
রাজ্জাক বলেন, “ব্যাটিংয়েও সে উন্নতি করছে। আমাদের লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিং গভীরতা এক সময় সমস্যা ছিল। রাকিবুল সেই দিকটাও কভার করতে পারে ভবিষ্যতে।”
নির্বাচকদের মতে, রাকিবুলকে নিয়ে তাদের পরিকল্পনা তাৎক্ষণিক সুযোগ দেওয়ার চেয়ে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করার দিকে। জাতীয় দলের জন্য একটি শক্ত ভিত গড়ে তুলতে এমন পরিকল্পনাই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তারা।