বাংলাদেশ সচিবালয়ের কর্মীদের আন্দোলনের মুখে অবশেষে সরকার সংশোধন এনেছে নতুন সার্ভিস বিধিমালায়। বৃহস্পতিবার সংশোধিত বিধিমালা অনুমোদনের পর কর্মচারীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ‘বাংলাদেশ সচিবালয় অফিসার্স অ্যান্ড এমপ্লয়িজ ইউনিটি ফোরাম’ এক বিবৃতিতে সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
সংগঠনের কো-সাধারণ সম্পাদক মো. নাজরুল ইসলাম এই বিবৃতিতে বলেন, “দেশব্যাপী কর্মরত ১৮ লাখ সরকারি কর্মচারীর পক্ষ থেকে আমরা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”
প্রসঙ্গত, ২৫ মে প্রণীত মূল সার্ভিস বিধিমালায় চার ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে ‘অবাধ্য আচরণ’ ও ‘দায়িত্বে অনুপস্থিত থাকার প্ররোচনা’ দুটি অভিযোগ ছিল সবচেয়ে বিতর্কিত।
বিধিমালার এ ধারাগুলোর অস্পষ্টতা এবং শাস্তি আরোপের সম্ভাব্য অপব্যবহারের আশঙ্কা থেকে সচিবালয়ের কর্মীরা আন্দোলনে নামেন। এতে সচিবালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হতে থাকে।
পরবর্তীতে সরকার তাদের বক্তব্য আমলে নিয়ে আইনি সংশোধনের আশ্বাস দেয়।
সংশোধিত বিধিমালায় বিতর্কিত দুইটি অভিযোগ বাতিল করা হয়েছে। এখন থেকে অভিযোগ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটিতে একজন নারী সদস্য রাখা বাধ্যতামূলক।
কমিটিকে ১৪ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন না দিলে কমিটি অক্ষম বিবেচিত হবে এবং তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তি হলে, তিনি ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে আপিল করার সুযোগ পাবেন।
এই সংশোধনের মাধ্যমে কর্মচারীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ফিরবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।