চীনের তিয়ানজিন শহরে সোমবার অনুষ্ঠিত সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোসহ দুই ডজনের বেশি দেশীয় নেতা যোগ দিয়েছেন। এ সম্মেলনের আয়োজক ছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
রোববার শুরু হওয়া এই সম্মেলন সোমবার “উদ্বোধনী অনুষ্ঠান” দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত হয়। এতে শি জিনপিং বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনের সময় নিরাপত্তা জোরদার করতে তিয়ানজিনের বেশ কিছু এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং শহরজুড়ে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এসসিওতে চীন, ভারত, রাশিয়া, পাকিস্তান, ইরান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও বেলারুশ সদস্য হিসেবে রয়েছে। এছাড়া আরও ১৬টি দেশ পর্যবেক্ষক বা সংলাপ অংশীদার হিসেবে যুক্ত রয়েছে।
পুতিন রোববার তিয়ানজিনে পৌঁছান উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের সঙ্গে। শি জিনপিং সম্মেলনের ফাঁকে একাধিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এর মধ্যে ছিলেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদি ২০১৮ সালের পর প্রথমবারের মতো চীন সফর করছেন। তিনি শি-কে বলেন, “ভারত পারস্পরিক আস্থা, মর্যাদা ও সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
চীন ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিদ্যমান। ২০২০ সালে সীমান্তে সংঘর্ষে দুই দেশের সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়। তবে গত বছর অক্টোবর মাসে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মোদি ও শি পাঁচ বছর পর আবার সাক্ষাৎ করেন, যা সম্পর্কের ক্ষেত্রে আংশিক অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানও। জানা গেছে, পুতিন এরদোয়ানের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে বৈঠক করবেন।
চীন ও রাশিয়া এসসিওকে কখনো কখনো ন্যাটোর বিকল্প হিসেবে উল্লেখ করেছে। এবারের সম্মেলনটি বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে কারণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় হোয়াইট হাউসে ফেরার পর এটি অনুষ্ঠিত হলো।
আগামী বুধবার বেইজিংয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০ বছর উপলক্ষে আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজে উপস্থিত থাকবেন বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রপ্রধান। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনও এতে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।