সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কিনতে আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখানোর প্রয়োজন হবে না।
আগে এই সীমা ছিল ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। নতুন নিয়মে তা দ্বিগুণ করে ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ১০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক থাকবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের অধীন জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর সম্প্রতি এক প্রজ্ঞাপন জারি করে এ তথ্য জানায়। এর আগে জুন মাসে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।
গেজেটের ভিত্তিতে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর ১০ লাখ টাকার নিচে সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন জমার প্রয়োজনীয়তা তুলে নিয়েছে। অর্থাৎ, এখন থেকে যে কেউ আয়কর রিটার্ন জমা না দিয়েও সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন।
এদিকে ১ জুলাই তারিখে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতাধীন পাঁচটি সঞ্চয় প্রকল্পে মুনাফার হারও হ্রাস করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। নতুন হারে মুনাফা ১১.৮২ শতাংশ থেকে ১১.৯৮ শতাংশের মধ্যে নির্ধারিত হয়েছে, যা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে।
এই পরিবর্তন বিনিয়োগকারীদের জন্য একদিকে সুবিধাজনক হলেও, অন্যদিকে মুনাফার হারে সামান্য হ্রাসের কারণে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে। তবুও আয়কর রিটার্ন সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতা কমায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর আশা করছে, এই সিদ্ধান্ত আরও বেশি মানুষকে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে আগ্রহী করবে এবং সরকারও এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বাড়াতে পারবে।