দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সংগঠক ও চিকিৎসক ডা. সরওয়ার আলী। সংগঠনটির সাবেক সভাপতি প্রয়াত সাঞ্জিদা খাতুনের মৃত্যুর তিন মাস পর শুক্রবার অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় তাকে এই পদে নির্বাচিত করা হয়।
সভায় ছায়ানটের নির্বাহী কমিটিও পুনর্গঠন করা হয়েছে। খায়রুল আনাম শাকিল ও পার্থ তানভীর নাভেদকে সহসভাপতি হিসেবে এবং লাইসা আহমেদ লিসাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
এছাড়া নবগঠিত নির্বাহী পরিষদে রয়েছেন মফিদুল হক, শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, নাহাস খলিল, আমিনুল কাওসার দীপু, সাহানা আখতার রহমান পাপড়ি, মাসুদা নারগিস আনাম কল্পনা, জুবায়ের ইউসুফ, গৌতম সরকার, জাসমিন বুলী ও সেমন্তি মঞ্জরী।
এছাড়া সদ্য প্রয়াত নুরুন্নাহার আবেদীন ও সাঞ্জিদা খাতুনের স্থানে ছায়ানট বোর্ড অব ট্রাস্টিজে যুক্ত হয়েছেন সাঈদা কামাল ও রুচিরা তাবাসসুম নাভেদ।
ডা. সরওয়ার আলী ১৯৬৭ সাল থেকে ছায়ানটের সঙ্গে যুক্ত আছেন। পেশাগত জীবনে তিনি একজন চিকিৎসক ও সংগঠক হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে তিনি রেনাটা পিএলসি’র বোর্ড অব ডিরেক্টরসের চেয়ারম্যান। এছাড়া তিনি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি, বারডেম হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
উল্লেখ্য, ছায়ানটের দীর্ঘদিনের সভাপতি সাঞ্জিদা খাতুন চলতি বছরের ২৫ মার্চ ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তিনি ১৯৯৯ সাল থেকে সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত ছায়ানট বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। সংগঠনটি পাকিস্তানি শাসনামলে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালনের মাধ্যমে বাঙালি সাংস্কৃতিক চেতনা রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়। ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন কবি সুফিয়া কামাল।
সাঞ্জিদা খাতুনের মৃত্যুতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল, সরওয়ার আলীর অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বে সেই জায়গা পূরণ হবে বলে মনে করছেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সংশ্লিষ্টরা।