সম্প্রতি ‘ম্যাডাম ওয়েব’ সিনেমার জন্য ‘ওরস্ট অ্যাকট্রেস’ বা ‘সবচেয়ে খারাপ অভিনেত্রী’ পুরস্কার পেয়েছেন হলিউড তারকা ডাকোটা জনসন। এই প্রথমবারের মতো ‘রাজি অ্যাওয়ার্ড’ জিতে এক বিশেষ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়েই গেলেন তিনি। তবে পুরস্কার পাওয়ার পর তিনি জানতে পারেন, এটি শুধু অপ্রীতিকর কোনো অভিজ্ঞতা নয় বরং এক ধরনের ‘ক্লাব’-এর অংশ হওয়া।
জনসন সম্প্রতি অভিনেত্রী ও কৌতুকশিল্পী অ্যামি পোহলারের ‘গুড হ্যাং’ পডকাস্টে উপস্থিত হয়ে জানান, অস্কারজয়ী অভিনেত্রী স্যান্ড্রা বুলক তাকে এক উষ্ণ শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন। বুলক বার্তায় বলেন, ‘আমি শুনেছি তুমি এখন ‘রাজি ক্লাব’-এর সদস্য। আমাদের মাসে একবার একসঙ্গে ব্রাঞ্চ করা উচিত।’
এমন বার্তা পেয়ে ভীষণ অবাক এবং উচ্ছ্বসিত হন ডাকোটা জনসন। তার ভাষ্য, ‘তিনি আমার কাছে বরাবরই আইকনিক। তার কাছ থেকে এই বার্তা পেয়ে আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছিল না।’
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে ‘অল অ্যাবাউট স্টিভ’ সিনেমার জন্য স্যান্ড্রা বুলকও ‘ওরস্ট অ্যাকট্রেস’ এবং ‘ওরস্ট কাপল’ (সহ-অভিনেতা ব্র্যাডলি কুপারের সঙ্গে) বিভাগে ‘রাজি অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছিলেন। একই বছর ‘দ্য ব্লাইন্ড সাইড’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে অস্কারও পান তিনি।
পডকাস্টে আরও আলোচনা হয় সিনেমা সফল না হলে বা ‘ফ্লপ’ হলে একজন অভিনেত্রী কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন সে প্রসঙ্গে। এ বিষয়ে ডাকোটা জনসন বলেন, ‘এখন আর আমাদের হাতে কোনো কন্ট্রোল নেই। সিনেমার শেষ রূপ কখন কী হবে সেটা আমরা জানিও না। অনেক সময় শুটিং শেষে দেখা যায় ছবির গল্পই বদলে গেছে। এতটা জটিল প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় আমাদের। তাই এসব নিয়ে কাঁদার কিছু নেই। বরং হাস্যরসের মাধ্যমে মেনে নেওয়াই ভালো।’
অ্যামি পোহলার মজা করে বলেন, ‘তোমার উচিত ছিল ‘রাজি অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে গিয়ে এক চমৎকার ভাষণ দেওয়া।’ উত্তরে ডাকোটা জানান, ‘দুঃখজনকভাবে অনুষ্ঠানের কোনো ইন-পার্সন আয়োজনই হয় না। যদিও ইচ্ছে ছিল, যদি হতো তাহলে অবশ্যই যেতাম।’
এখানেই শেষ নয়। স্যান্ড্রা বুলকের একটি মজার অভিজ্ঞতাও শোনান তিনি। ডাকোটা জানান, ‘বুলক নিজে একবার ‘রাজি’ পুরস্কার সংগ্রহ করেছিলেন। পরে আয়োজকরা তাকে বলেছিলেন পুরস্কারটি ফিরিয়ে দিতে, কারণ সেটি তাদের একমাত্র কপি ছিল।’
অ্যামি পোহলার মজা করে আরও বলেন, ‘আমার তো ইচ্ছা হয় রাজি কমিটির সবাইকে একবার সামনে দেখতে।’
সিনেমার দুনিয়ায় পুরস্কার যেমন আনন্দের উৎস, তেমনি কখনও কখনও মজার বা অপ্রত্যাশিত অভিজ্ঞতাও এনে দেয়। ডাকোটা জনসন এবং স্যান্ড্রা বুলকের এই ঘটনার মধ্য দিয়ে সেটাই যেন আরও একবার প্রমাণিত হলো।