বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পরিবর্তে বর্তমানে ‘মবক্রেসি’ বা জনতার নামে শাসন চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের আয়োজিত এক সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমরা গণতন্ত্র চেয়েছিলাম, কিন্তু এখন বাংলাদেশে চলছে মবক্রেসির রাজত্ব। ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান গণতন্ত্রের জন্যই ছিল, কিন্তু আজ তার চেতনাকেই আঘাত করা হচ্ছে।”
সরকারের উদাসীনতা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জনগণের আন্দোলনের চেতনাকে কে বা কারা আঘাত করছে, আর কেন করছে— তার জবাব হলো, সরকারের উদাসীনতা ও আইনের শাসন রক্ষা করতে ব্যর্থতা।”
তিনি আরও বলেন, “ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আমাদের সমর্থন ছিল, কিন্তু এখন বিভিন্ন দিক থেকে সেই গণআন্দোলনের চেতনার ওপর আঘাত আসছে। পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে কলঙ্কিত করার অপচেষ্টা চলছে।”
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন বলেন, যারা বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ ফিরিয়ে আনতে চায়, তারাই গণআন্দোলনের শক্তিকে ভিন্ন ইস্যু তৈরি করে দুর্বল করার চেষ্টা করছে।
সাধারণ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের পর আমরা আশা করেছিলাম, নির্বাচন কমিশনকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন আয়োজনের নির্দেশনা দেওয়া হবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।”
তিনি বলেন, “জনগণকে আশ্বস্ত করতে এবং নির্বাচন নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি না তৈরি করতে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত নির্বাচন কমিশনকে সঠিক প্রক্রিয়ায় বার্তা পাঠানো।”
গোপালগঞ্জের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “গণআন্দোলনের পক্ষে যারা দাঁড়িয়েছে, তাদের ওপর গোপালগঞ্জে হামলা হয়েছে। এটা কল্পনাও করা যায় না যে, ‘পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তি’ (আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে) এমন হামলা চালাতে পারে।”
এসময় তিনি ন্যাশনালিস্ট সিটিজেন প্ল্যাটফর্ম-এনসিপি নেতাদের রাজনীতিতে আরও অভিজ্ঞতা অর্জনের পরামর্শ দেন এবং তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কামনা করেন।
সভাপতিত্ব করেন যুবদলের সভাপতি এম মনায়েম মুন্না এবং পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন। বক্তব্য রাখেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সালাহউদ্দিন টুকুও।