বাংলাদেশি প্রবাসী সাজিব মিয়া ১ আগস্ট ঢাকার আদালতে তার জঙ্গি কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। মামলাটি গঠন করা হয়েছে এন্টি টেরোরিজম অ্যাক্টের অধীনে, যেখানে সাজিব মিয়ার বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ায় অবস্থানকালে উগ্রবাদী সংগঠনে যোগদান এবং সদস্য সংগ্রহের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান সাজিবের স্বীকারোক্তি রেকর্ড করেন, যেটি তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনপত্রের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে গ্রহণ করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সাজিব তার স্বীকারোক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছেন, যেখানে তিনি মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে এক নিষিদ্ধ উগ্রবাদী সংগঠনে সদস্য সংগ্রহের কৌশল বর্ণনা করেছেন। তদন্তের মধ্যে সাজিব জানিয়েছেন, তিনি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে সদস্য সংগ্রহ করতেন এবং একটি মালয়েশীয় আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে উগ্রবাদী মতাদর্শ প্রচার করতেন।
আরও জানা যায়, সাজিব প্রাথমিকভাবে সংগঠনের জন্য ৪৮০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত বার্ষিক সদস্যপদ ফি প্রদান করতেন এবং তিনি ওয়াটসঅ্যাপ এবং টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন মেসেজিং অ্যাপস ব্যবহার করতেন সদস্য সংগ্রহের জন্য।
এদিকে, অপর আসামি মো. ওয়াসিম আকরমও সোমবার তিন দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। তাকে ৩ আগস্ট কফরুল থানার বৈশ্বিক এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে আটক করা হয়। রিমান্ড আবেদনে জানানো হয়েছে, ওয়াসিম, সাজিব মিয়া এবং অন্যান্য আসামির সাথে মিলিত হয়ে মালয়েশিয়ায় বসবাসকালে উগ্রবাদী সংগঠনের সদস্য সংগ্রহ করতেন।
এছাড়াও, ৫ জুলাই এন্টি টেরোরিজম ইনটেলিজেন্স ইউনিট (এটিইউ) ৩৫ বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ায় উগ্রবাদী সম্পর্ক থাকার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে।