বিশ্বের এক নম্বর নারী টেনিস খেলোয়াড় আরিনা সাবালেঙ্কা নাটকীয়ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে উইম্বলডনের সেমিফাইনালে উঠেছেন। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি জার্মানির লোরা সিজেমুন্ডকে ৪–৬, ৬–২, ৬–৪ সেটে হারান।
কেন্দ্র কোর্টে অনুষ্ঠিত প্রায় তিন ঘণ্টার এই ম্যাচে সাবালেঙ্কা দু’বার শেষ সেটে ব্রেক পিছিয়ে পড়েন এবং একসময় পরাজয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। তবে চূড়ান্ত সময়ে অভিজ্ঞতা আর মানসিক দৃঢ়তায় ম্যাচে ফেরেন তিনি।
২৭ বছর বয়সী এই বেলারুশিয়ান খেলোয়াড় আগেও ২০২১ ও ২০২৩ সালে উইম্বলডনের সেমিফাইনালে উঠেছিলেন, কিন্তু ফাইনালের স্বপ্ন অধরাই ছিল। এবারের আসরে আবারও সেই স্বপ্ন পূরণের সম্ভাবনা জাগছে।
সাবালেঙ্কা বলেন, “এটা ছিল এক প্রকৃত পরীক্ষা। আমি ম্যাচ শেষে নিজেকে শান্ত করতে একটু সময় নিচ্ছি। প্রতিপক্ষ আমাকে দারুণ চাপে রেখেছিল। প্রথম সেট হেরে যাওয়ার পর মনে হচ্ছিল এখান থেকে বিদায় নিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এই ম্যাচ জিতে খুব খুশি। প্রতিটি পয়েন্টের জন্য লড়তে হয়েছে। এমন ম্যাচই আপনার মানসিক দৃঢ়তা পরীক্ষা নেয়।”
এই জয়ে সাবালেঙ্কা পৌঁছে গেছেন টানা চতুর্থ গ্র্যান্ড স্লাম সেমিফাইনালে। এর আগে তিনি ২০২৪ সালের ইউএস ওপেন জিতেছেন এবং চলতি বছর অস্ট্রেলিয়ান ও ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে পৌঁছেছিলেন।
পরের রাউন্ডে তিনি মুখোমুখি হবেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৩তম বাছাই আমান্ডা আনিসিমোভা অথবা রাশিয়ার বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের ৫০ নম্বরে থাকা আনাস্তাসিয়া পাভলিউচেঙ্কোভার বিপক্ষে।
অন্যদিকে, ১০৪তম র্যাঙ্কধারী সিজেমুন্ডের পারফরম্যান্সও নজর কাড়ার মতো ছিল। তার দুর্দান্ত ফর্মে ছিল অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ী ম্যাডিসন কিসের বিপক্ষে জয়। কিন্তু সাবালেঙ্কাকে থামানো তার পক্ষে সম্ভব হয়নি।
ম্যাচ শেষে সাবালেঙ্কা বলেন, “জিততে হলে আপনাকে দৌড়াতে হবে, ঘাম ঝরাতে হবে। বড় সার্ভ আর বড় শট দিয়েই জয় আসবে না। আপনাকে লড়াই করতে হবে।”
উইম্বলডনের এবারের আসরে শীর্ষ ছয় বাছাইয়ের মধ্যে এখনো টিকে আছেন শুধু সাবালেঙ্কা। তার সামনে ফাইনালের দরজা, এবং হয়তো আরেকটি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপার সুযোগ।