রাশিয়ার সামরিক বাহিনী সোমবার রাতে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জাপোরিজিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। এতে ১৩ জন আহত হন, তাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছেন। স্থানীয় কর্মকর্তারা মঙ্গলবার এই তথ্য জানান।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউরোপীয় নেতাদের অনুরোধ করেছেন, মহাদেশকে নিরাপদ করতে বহস্তরীয় বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য। তিনি টেলিগ্রামের মাধ্যমে জানান, ইউরোপীয় আকাশের যৌথ সুরক্ষা এখনই বাস্তবায়নের সময়।
রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের ৩.৫ বছর পরও ইউক্রেনের নাগরিক এলাকা ও সামরিক অবস্থানগুলিতে হামলার ঘটনা বন্ধ হয়নি। মাত্র দুই সপ্তাহে, জেলেনস্কি অনুযায়ী, রাশিয়া ৩,৫০০টিরও বেশি ড্রোন, ২,৫০০টিরও বেশি glide বোমা এবং প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনে নিক্ষেপ করেছে।
জাপোরিজিয়ায় রাশিয়ার হামলায় ২০টির বেশি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরের প্রশাসক ইভান ফেডোরভ বলেছেন, আগের হামলার ক্ষতি ঠিক করা হয়নি, নতুন আঘাত আরও কাজ বাড়িয়েছে পৌরকর্মীদের জন্য।
রাশিয়ার glide বোমা উচ্চ উচ্চতায় বিমান থেকে নিক্ষেপ করা হয় এবং এগুলি মূলত সামরিক সীমারেখার অনেক দূরে পড়ে। যদিও এগুলোর নির্ভুলতা কম, কিন্তু বড় বড় গর্ত ফেলে। ইউক্রেনের কাছে এ ধরনের হামলার কার্যকর প্রতিকার নেই।
উত্তরে, ইউক্রেন দীর্ঘশ্রেণির ড্রোন তৈরি করেছে যা রাশিয়ার ভিতরে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে আঘাত হানছে। সাম্প্রতিক হামলায় তেল পরিশোধনাগার, ডিপো ও টার্মিনাল লক্ষ্যবস্তু হয়েছে।
রাশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক হলেও, ঋতুসীমার কারণে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এবং ইউক্রেনের ড্রোন হামলার ফলে সাম্প্রতিক সপ্তাহে ডিজেল ও পেট্রোলের সংকট দেখা দিয়েছে।
ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ মঙ্গলবার জানায়, সেরাটভ অঞ্চলে একটি তেল পরিশোধনাগারে রাত্রে হামলা চালানো হয়েছে। বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া গেছে।