রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবাহিনী একটি বিশাল সামরিক মহড়া শুরু করেছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘জুলাই স্টর্ম’। এ মহড়ার উদ্দেশ্য হলো সমুদ্রসংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রক্ষার সক্ষমতা যাচাই করা। ইন্টারফ্যাক্স এবং মস্কো টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, এই মহড়ায় রাশিয়ার ফেডারেল নিরাপত্তা সংস্থা (এফএসবি) ও সীমান্ত রক্ষী ইউনিটও অংশ নিচ্ছে।
মহড়াটি শুরু হয়েছে পূর্বাঞ্চলীয় প্রিমোরিয়ে ও কামচাটকা অঞ্চলে। এতে অংশ নিচ্ছে ১৫০টি যুদ্ধজাহাজ ও সহায়ক জাহাজ, ১২০টি সামরিক বিমান, ১০টি উপকূলীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, প্রায় ১ হাজার সামরিক যান এবং ১৫ হাজারের বেশি সেনাসদস্য। রাশিয়ার চারটি প্রধান নৌবহরের সবগুলো থেকেই অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভ্লাদিভস্তকের উপকূলে পরিচালিত এক অংশে, নৌ টহল নৌকাগুলো ড্রোন ও মানববিহীন পৃষ্ঠজাহাজের অনুকরণে হামলার জবাব দেয়। রাস্কি ব্রিজের কাছে ‘শত্রুপক্ষের’ ড্রোনের উপস্থিতি লক্ষ্য করে এমআই-৮ ও কেএ-২৭পিএস হেলিকপ্টার থেকে সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনী পাঠানো হয়। পরে ছোট অস্ত্র ও যুদ্ধজাহাজ থেকে উড্ডয়ন করা স্ট্রাইক ড্রোনের সাহায্যে হামলা প্রতিহত করা হয়।
মহড়ার আরেকটি ধাপে প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থানরত করভেট ‘গ্রেমিয়াশচি’ একটি জলের নিচের প্রশিক্ষণ টার্গেটে অ্যান্টি-সাবমেরিন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়াটির মাধ্যমে নৌবাহিনীর দূরপাল্লার নির্ভুল হামলা চালানোর সক্ষমতা, মানববিহীন প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার এবং আধুনিক অস্ত্র ব্যবস্থার সমন্বয়মূলক দক্ষতা মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
এই ‘জুলাই স্টর্ম’ মহড়া চলবে ২৭ জুলাই পর্যন্ত এবং এটি প্রশান্ত মহাসাগর ছাড়াও আর্কটিক, বাল্টিক ও কাস্পিয়ান সাগরের বিভিন্ন অঞ্চলজুড়ে পরিচালিত হচ্ছে। এতে রাশিয়ার সামরিক শক্তির প্রস্তুতি ও সমন্বয়মূলক কার্যক্রমের পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।