ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বৃহস্পতিবার ভোরে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন এবং শহরের বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
কিয়েভ সামরিক প্রশাসনের প্রধান তিমুর তকাচেঙ্কো বলেন, শহরের ১০টি স্থানে হামলার প্রভাব পড়েছে, যার মধ্যে দুইটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবন সরাসরি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
তিনি অনলাইনে কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন, যেখানে একটি গাড়িকে উল্টে পড়ে থাকতে এবং একাধিক ভবনের জানালা চূর্ণবিচূর্ণ অবস্থায় দেখা যায়।
রাজধানী টানা দ্বিতীয় রাত রুশ হামলার মুখে পড়ল।
বুধবারের আগের হামলায় বিদ্যুৎ অবকাঠামো লক্ষ্য করা হয়েছিল, যা ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের মতে শীতের আগে জ্বালানি ব্যবস্থা ধ্বংসের উদ্দেশ্যে পরিচালিত একটি অভিযান।
তবে বৃহস্পতিবারের হামলার লক্ষ্য কী ছিল, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
বুধবারের বিভিন্ন হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ছয়জন কিয়েভে, এবং দেশজুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানায়, রাশিয়া সর্বশেষ হামলায় মোট ১৩০টি ড্রোন ব্যবহার করেছে, যার মধ্যে ৯২টি ভূপাতিত করা হয়েছে।
অন্যদিকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তারা ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, যা ইউক্রেনের রুশ বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণের প্রতিশোধ হিসেবে দাবি করা হয়।
মস্কো বলেছে, ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনাগুলো বৈধ সামরিক লক্ষ্য, যদিও উভয় পক্ষই বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করা অস্বীকার করেছে।
ইউক্রেনও পাল্টা ড্রোন হামলা চালাচ্ছে রাশিয়ার ভেতরে। রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সর্বশেষ হামলায় নিজনি নভগোরদ অঞ্চলের একটি বিদ্যুৎ স্থাপনা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং রিয়াজান অঞ্চলের একটি কারখানায় আগুন লেগেছে।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের এই পাল্টাপাল্টি হামলা চলমান যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলেছে, বিশেষ করে শীতকাল ঘনিয়ে আসার সময় জ্বালানি অবকাঠামোই এখন প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
