রাশিয়ার রাতভর হামলায় ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় ওডেসা অঞ্চলের বড় অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার সকালে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, এটি শীতের আগে ইউক্রেনের জ্বালানি ব্যবস্থার ওপর ধারাবাহিক আক্রমণের সর্বশেষ ঘটনা।
ওডেসার গভর্নর ওলেগ কিপার বলেন, “গত রাতে শত্রু ওডেসা অঞ্চলের জ্বালানি ও বেসামরিক অবকাঠামোয় হামলা চালিয়েছে। বিদ্যুৎ প্রকৌশলীরা পূর্ণ সক্ষমতায় কাজ করছে, দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে।”
ইউক্রেনের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ডিটিইকে (DTEK) জানিয়েছে, হামলার পর ওডেসা শহরের কিছু অংশে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়। পরে সংস্থাটি জানায়, প্রায় দুই লাখ ৪০ হাজার পরিবারের বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু করা হয়েছে।
রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে প্রতি শীত মৌসুমে জ্বালানি স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে আসছে। এসব হামলায় লক্ষ লক্ষ পরিবার বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির ঘাটতিতে পড়ে। কিয়েভ প্রশাসনের মতে, এটি একটি স্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ।
অন্যদিকে, মস্কো দাবি করেছে তারা বেসামরিক স্থাপনা নয়, বরং সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত জ্বালানি অবকাঠামোয় হামলা চালাচ্ছে। ইউক্রেনের অভিযোগ, এসব হামলার মূল লক্ষ্য সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রা ব্যাহত করা।
এর একদিন আগে রাশিয়ার বৃহৎ আকারের এক আক্রমণে রাজধানী কিয়েভসহ দশটি অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার সকালে ডিটিইকে জানিয়েছে, তারা কিয়েভে আট লাখের বেশি পরিবারের বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরুদ্ধার করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবারের হামলাকে “অমানবিকতার নতুন রেকর্ড” বলে উল্লেখ করেন। তিনি পশ্চিমা দেশগুলোকে রাশিয়ার ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, শীতকাল ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রাশিয়ার এসব হামলা তাদের জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিকল্প জেনারেটর ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে।
