রাশিয়া মন্ট্রিয়েলে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান সংস্থা (আইসিএও) সভায় বিমান অংশ ও ওভারফ্লাইট নিষেধাজ্ঞা শিথিলের জন্য আবেদন করেছে। পশ্চিমা দেশগুলোর ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে আরোপিত বিধিনিষেধকে রাশিয়া ‘অবৈধ বাধ্যবাধকতা’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর থেকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার বিমান সংস্থাগুলো বিদেশি বিমান এবং যন্ত্রাংশে অ্যাক্সেস হারিয়েছে। প্রায় ৭০০টি এয়ারবাস ও বোয়িং বিমান এখন জটিল, অনিয়মিত আমদানি পথে যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করছে।
রাশিয়ার বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে, যন্ত্রাংশ ছাড়া বিমান নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। তারা আইসিএওর ত্রিবার্ষিক সাধারণ সভায় নিষেধাজ্ঞা শিথিলের দাবি জানাচ্ছে। সভা মঙ্গলবার শুরু হয়ে অক্টোবর ৩ পর্যন্ত চলবে।
আইসিএও বিশ্বের বেসামরিক বিমান নিরাপত্তার মান নির্ধারণ করে এবং ইউক্রেনের আকাশসীমা লঙ্ঘনের কারণে রাশিয়াকে নিন্দা জানিয়েছে। তবে রাশিয়া যুক্তি দেখাচ্ছে, নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক নিয়মের পরিপন্থী। এছাড়া রাশিয়া আইসিএওর ৩৬-সদস্যের গভর্নিং কাউন্সিলে নির্বাচনের চেষ্টা করছে।
কানাডা ইতিমধ্যেই রাশিয়ার এই প্রার্থীতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। রাশিয়ার বয়িং ও এয়ারবাস বিমান বহন বেশিরভাগই পুরাতন এবং সব যন্ত্রাংশ ‘গ্রে মার্কেট’ থেকে আনা সম্ভব নয়। ফলে বহু বিমান কার্যত গ্রাউন্ডেড হতে পারে।
রাশিয়ার জন্য বাণিজ্যিক বিমান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১১টি সময়াঞ্চলে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের জন্য দেশের নির্ভরতা বেশি। তবে জুলাইয়ে ১৯৭৬ সালে নির্মিত সোভিয়েত যুগের একটি এন্টোনভ এ-২৪ বিমান দুর্ঘটনা এবং এর পর সাইবার হামলার কারণে এয়ারফ্লট ফ্লাইট স্থগিত হওয়ায় রাশিয়ার বিমান বহরের অবস্থা উদ্বেগজনক।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘অবৈধ বাধ্যবাধকতা যেকোনো নাগরিকের চলাফেরার অধিকার লঙ্ঘন করে। আইসিএওকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে যেন আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান ক্ষেত্রে রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতমূলক বাধ্যবাধকতা আরোপ করা না হয়’।
রাশিয়ার বিমান নিয়ন্ত্রক রোসাভিয়াসিয়া এবং পরিবহন মন্ত্রণালয় মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষও তখন সরাসরি মন্তব্য করতে পারেনি।