রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার দাবি করেছেন, ২০২৫ সালে রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনে প্রায় ৫ হাজার বর্গকিলোমিটার জমি দখল করেছে এবং বর্তমান যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ অপরিবর্তিত রয়েছে।
রাশিয়ার এই দখল মোট ইউক্রেনের প্রায় এক শতাংশ। তবে দেশটি মোট প্রায় ২০ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। পুতিন তার ৭৩তম জন্মদিনে রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী সব সেক্টরে পিছু হটছে এবং রাশিয়ার সমগ্র সামরিক পরিকল্পনা কার্যকর রয়েছে।
পুতিন বলেন, “এ মুহূর্তে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী সম্পূর্ণরূপে কৌশলগত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই বছর আমরা প্রায় ৪,৯০০ বর্গকিমি এলাকা এবং ২১২টি স্থানীয় অঞ্চল মুক্ত করেছি।” তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন আগ্রাসী হলেও এটি যুদ্ধের সামগ্রিক পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে পারবে না।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে আরও দুইটি গ্রাম দখল করা হয়েছে। তবে ইউক্রেনের সামরিক নেতৃত্ব দাবি করেছে, এই বছরের কোনো বড় শহর রাশিয়া দখল করতে পারেনি।
ইউক্রেনের সূত্র অনুযায়ী, তাদের সেনারা ডোনেটস্ক অঞ্চলে, বিশেষত পোক্রোভস্ক শহরের কাছে ডোব্রোপিল্লিয়া এলাকায় কিছু অগ্রগতি অর্জন করেছে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, সুমি সীমান্ত অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনারা পুনরায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।
রাশিয়ার সেনাবাহিনী প্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভ বলেন, রাশিয়ার বাহিনী “প্রায় সব দিকেই অগ্রসর হচ্ছে” এবং ইউক্রেনীয় বাহিনী মূলত রাশিয়ার অগ্রগতি ধীর করতে চেষ্টা করছে। সবচেয়ে তীব্র লড়াই চলছে পোক্রোভস্ক এবং ডনিপ্রোপেত্রোভস্কের দিকে।
গেরাসিমভ জানিয়েছেন, রাশিয়ার সৈন্যরা কুপিয়ানস্ক শহর থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে সরিয়ে এগোচ্ছে এবং দক্ষিণে জাপোরিজ্জিয়া ও ডনিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলে অগ্রগতি করছে। এছাড়াও সুমি ও খারকিভ অঞ্চলে বাফার জোন তৈরি করা হচ্ছে।
পুতিন বৈঠকে উল্লেখ করেন, রাশিয়ার লক্ষ্য ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া “বিশেষ সামরিক অভিযান” শুরু করার সময় থেকে অপরিবর্তিত। লক্ষ্য হলো ইউক্রেনকে “ডিমিলিটারাইজ এবং ডেনাজিফাই” করা।