রাশিয়া বুধবার জানিয়েছে, ইউক্রেনের নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনায় তাদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ বলেন, রাশিয়া ছাড়া ইউক্রেনের নিরাপত্তা বিষয়ক কোনো আলোচনা বাস্তবসম্মত নয়।
মস্কো ১৯৯৪ সালে বুদাপেস্ট স্মারক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে, যার মাধ্যমে ইউক্রেন, বেলারুশ ও কাজাখস্তান তাদের পরমাণু অস্ত্র ত্যাগের বিনিময়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি পায়। কিন্তু ২০১৪ সালে ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার আগ্রাসন এবং ২০২২ সালে পূর্ণমাপের যুদ্ধের ফলে এই চুক্তি লঙ্ঘন হয়।
এর মধ্যেই, ন্যাটো সেনা প্রধানরা ইউক্রেনের নিরাপত্তা গ্যারান্টি নিয়ে ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলন করছেন। এদিকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার সেনারা নতুন অগ্রগতি অর্জনের দাবি জানিয়েছে এবং ইউক্রেনের কর্মকর্তারা আরো মৃত্যুর খবর দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের হোয়াইট হাউসে ডেকে আনেন। তবে লাভরভ এই বৈঠককে রাশিয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে “অক্লান্ত” হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং যে কোনো সম্ভাব্য সম্মেলনের আগে বিস্তারিত প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তা জোর দিয়ে বলেছেন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার টেলিগ্রামে জানিয়েছে, তাদের সেনারা দোনেতস্ক অঞ্চলের সুকহেটস্কে ও প্যানকিভকা গ্রাম দখল করেছে। ইউক্রেনের প্রধান সেনা কর্মকর্তা ওলেক্সান্দার সিরস্কি জানান, তারা এখনও রাশিয়ার শক্তিশালী আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা যুদ্ধ চালাচ্ছে।
এদিকে, ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে রাশিয়ার হামলায় অন্তত ছয় নাগরিক নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় ব্রিয়ানস্কে ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। সুমি অঞ্চলের অকহিরকা শহরে বিমান হামলায় অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে তিনজন শিশু রয়েছেন।
বিশ্বমঞ্চে চলমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ও সামরিক অগ্রগতি একসঙ্গে চলার মধ্যেই শান্তি আলোচনার সম্ভাবনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকে দেখা যাচ্ছে।