ঢাকা: দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বাস্তবায়নাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য অত্যাধুনিক এক্সটার্নাল টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপনের প্রকল্পের কাজ দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চললেও অগ্রগতি মাত্র ০.০১ শতাংশ। এমন অবস্থায়, নতুন করে প্রকল্পের ব্যয় ৩৪৪ কোটি টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, যা মোট ব্যয়ের ৯১ শতাংশ বৃদ্ধি করবে।
আজ সোমবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক্সটার্নাল টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) এক কর্মকর্তা বলেন, রাশিয়ার পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের শর্তের কারণে ক্রয় চুক্তি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি, ফলে প্রকল্পের কাজ শুরু করা যায়নি।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, ‘বিগত সরকারের সময় অনেক প্রকল্পের বাস্তবায়ন রাজনৈতিকভাবে নেওয়া হয়েছিল, ফলে যথাযথ সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি। এখন কাজ না করে তারা সময় ও ব্যয় বৃদ্ধির জন্য ব্যস্ত।’
পরিকল্পনা কমিশনে সম্প্রতি প্রস্তাবিত সংশোধনীর ওপর মূল্যায়ন কমিটির সভায় প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন কার্যক্রম যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। সিকিউরিটি ইক্যুপমেন্টের জন্য নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপনের প্রস্তাবও এসেছে।
এদিকে, প্রকল্পের মূল অনুমোদিত ব্যয় ছিল ৩৭৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, কিন্তু সংশোধনীর পর মোট ব্যয়ের প্রস্তাব ৭২৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকায় পৌঁছেছে। প্রকল্পের মেয়াদও বাড়িয়ে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।
এটি বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিকল্পনার জন্য একটি দুঃসংবাদ, যেখানে অতিরিক্ত ব্যয় এবং অপর্যাপ্ত অগ্রগতির কারণে জনগণের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। সরকারের উচিত দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন