দেশে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী সরকারের ‘সহযোগীরা’ নানা ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রবিবার (৭ জুলাই) রাজধানীর টোলারবাগে জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ মোত্তাকিন বিল্লাহর অসুস্থ স্ত্রী নাঈমা এরিন নিতুর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, “আমরা জনগণের নাগরিক অধিকার ও প্রকৃত গণতন্ত্র চাই। প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে মানুষ সত্য কথা বলতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনই দেশের মানুষের প্রত্যাশা। সেই নির্বাচন হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে, যার নেতৃত্ব দেবেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।”
বিএনপি নেতা আশা প্রকাশ করেন, নির্ধারিত সময়ের বাইরে নির্বাচন পেছানোর মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দেওয়া হবে না।
রিজভীর ভাষ্য, “তারা সেটা করবেন না। তারা যে সময়সীমা ঘোষণা করেছেন, তার মধ্যেই নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার আন্দোলনের পক্ষে কথা বলে বিএনপি নেতারা বারবার নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিকে সামনে এনেছেন। এবারের মন্তব্যে রিজভী সেই দাবির পুনরাবৃত্তি করলেন এবং বর্তমান অস্থিরতার জন্য আওয়ামী সরকারের ঘনিষ্ঠ মহলকে দায়ী করলেন।
তিনি দাবি করেন, দেশের সাধারণ মানুষ প্রকৃত গণতন্ত্র চায় এবং সেই দাবিকে ঘিরেই জনগণ তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে এই বক্তব্য এমন সময়ে এলো, যখন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামো ও সময়সূচি নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যে রয়েছে।
রিজভীর বক্তব্য অনুযায়ী, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করবে এবং সেটা কোনো দলের পক্ষে হবে না।
দেশে গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনতে এবং সকল রাজনৈতিক পক্ষকে সমান সুযোগ দিতে রিজভীর বক্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।