দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও ছাত্র সিনেটের নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা শপথ গ্রহণ করেছেন।
রোববার বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন রুকসুর রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক সেতাউর রহমান এবং সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এ এফ নজরুল ইসলাম।
রুকসুর সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় ও সিনেট প্রতিনিধিদের শপথবাক্য পাঠ করান। ১৭টি আবাসিক হলের প্রভোস্টরা তাদের নিজ নিজ হল সংসদের প্রতিনিধিদের শপথ করান।
৩৫ বছর পর গঠিত এই নতুন রুকসু, ছাত্র সিনেট ও হল সংসদ এক বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবে।
শপথ অনুষ্ঠানে রুকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, আজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ বছরের অচলাবস্থার অবসান হলো। এই শপথ শুধু প্রতীকী নয়, এটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা। আমরা সব দলের ইশতেহার মিলিয়ে বাজেট ও সময়সূচি নির্ধারণে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করব।”
রুকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, “আজ আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নিতে পেরে ভালো লাগছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তাদের আস্থা ও ভোটের মর্যাদা রক্ষাই আমার প্রধান লক্ষ্য। পরাজিত প্রার্থীদের অনেক ভালো প্রস্তাবও ছিল, সেগুলোও আমরা বিবেচনায় নিতে চাই। ৩৫ বছর রুকসু নিষ্ক্রিয় ছিল, প্রথম অধিবেশনে আমরা তহবিল ব্যবহারের বিষয়ে প্রশাসনের কাছে ব্যাখ্যা চাইব এবং দায়িত্ব শেষে সব ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করব।”
সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) এস এম সালমান সাব্বির বলেন, “আমরা ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে যেসব বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সেগুলোর কাজ শিগগিরই শুরু করব।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন, একাডেমিক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. ফরিদ উদ্দিন খান, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদারসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও শিক্ষকরা।
গত ১৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত রুকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত মোস্তাকুর রহমান জাহিদ সহ-সভাপতি (ভিপি), সালাহউদ্দিন আম্মার সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এবং এস এম সালমান সাব্বির সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) নির্বাচিত হন।
২৩টি পদে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে শিবির সমর্থিত কম্বাইন্ড স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স ২০টি পদে জয় লাভ করে।
