রোহিঙ্গা সংকটের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের কথা আবারও তুলে ধরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপদে ফিরিয়ে দিতে আন্তর্জাতিক মহলকে আরও সোচ্চার হতে হবে। সেই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে মায়ানমারের ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
তারেক রহমান বলেন, “বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির এখন কক্সবাজারে। সেখানে ১৪ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী অবস্থান করছে। তাদের কারণে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত নানা সমস্যার মুখে পড়েছে। এই সংকটের মূল উৎস মায়ানমার সরকারের জাতিগত নিপীড়ন।”
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ তাদের মানবিক দায়িত্ব পালনে এগিয়ে এসেছে। তবে এখন সময় এসেছে, আন্তর্জাতিক পরিসরে রোহিঙ্গা সংকটের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরার।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক পৃথক বার্তায় বলেন, “বিশ্বব্যাপী উদ্বাস্তু সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এটি মানবতার জন্য এক বড় সংকেত। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে দিতে হলে মায়ানমারকে তাদের নাগরিক মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে বাধ্য করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোরও দায়িত্ব রয়েছে মায়ানমারের ওপর যথাযথ কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করার। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া যেন শুধু কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।”
বার্তায় বিএনপির পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য জাতিসংঘ, ওআইসি ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক শক্তির প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক অবস্থান যত শক্ত হবে, তত বেশি আন্তর্জাতিক সমর্থন অর্জন সম্ভব হবে।