পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, “জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমে জবাবদিহিতা, সমন্বয় এবং তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি।”
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি রানার ফুলার্সের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে উপদেষ্টা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ও পানি সংক্রান্ত প্রকল্পে পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থায় তরুণদের অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং মেডিকেল বর্জ্য নিঃসরণে ইনসিনারেশনের বিকল্প নিরাপদ পদ্ধতি গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
ইউনিসেফ প্রতিনিধি রানা ফুলার্স শিশু ও কিশোরদের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি যেমন বন্যা, অপুষ্টি ও শিক্ষার বিঘ্ন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইউনিসেফ বাংলাদেশের জলবায়ু সমাধানে তরুণদের কেন্দ্রস্থলে রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে।
রানা ফুলার্স জেলা পর্যায়ে তরুণদের পরামর্শ কার্যক্রম সম্প্রসারণের প্রস্তাব দেন, যাতে তৃণমূল পর্যায়ের অন্তর্দৃষ্টি উঠে আসে এবং কার্যক্রমে অংশগ্রহণমূলক মনোভাব তৈরি হয়।
তিনি পরিবেশ ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নিয়মিত তরুণদের আলোচনার একটি কাঠামোগত ব্যবস্থা তৈরির পরামর্শ দেন।
স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সচেতনতামূলক ডকুমেন্টারি সিরিজ তৈরির প্রস্তাবও দেন ইউনিসেফ প্রতিনিধি দল, যেখানে পরিবেশবান্ধব বার্তা শিশুদের কণ্ঠে তুলে ধরা হবে।
উপদেষ্টা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং স্কুল পাঠ্যক্রমে তা অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির কথা বলেন।
উভয় পক্ষ তরুণদের কেন্দ্র করে একটি যৌথ রোডম্যাপ তৈরির ব্যাপারে একমত হন। এতে পুনর্ব্যবহার কার্যক্রম, বর্জ্য পৃথককরণ প্রোগ্রাম এবং শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে জরুরি প্রস্তুতি মহড়া অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও ইউনিসেফ যৌথভাবে এই সহযোগিতা আরও গভীর করার আশাবাদ ব্যক্ত করে জানিয়েছে, এই পরিকল্পনার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জলবায়ু নেতৃত্ব গড়ে উঠবে এবং দেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।