মিটফোর্ড হাসপাতালে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু রাজনৈতিক দল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপিকে দোষারোপ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার উত্তরায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে। কিন্তু এক-দুটি রাজনৈতিক দল এই ঘটনাটিকে রঙ লাগিয়ে বিএনপিকে দোষারোপ করছে। র্যালি করছে, প্রতিবাদ করছে। অথচ আমরা শেখ হাসিনার মতো নীরব থাকিনি। জড়িতদের সঙ্গে সঙ্গে বহিষ্কার করেছি এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছি।”
রিজভী বলেন, “যেসব বিএনপিপন্থী সংগঠনের নাম এসেছে, তাদের সংশ্লিষ্টদের ওই রাতেই আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপি একটি বৃহৎ পরিবার। মাঝে মাঝে একজন-দুজন ভুল ব্যক্তি ঢুকে যেতে পারে, কিন্তু দল কিংবা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কখনোই ব্যবস্থা নিতে পিছপা হননি।”
তিনি আরও বলেন, “গত পরশু পাবনার সুজনগরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। জড়িতদের ওই রাতেই বহিষ্কার করা হয়েছে। মিটফোর্ডের ঘটনাটি রাজনৈতিক নয়, এটি একটি ব্যবসায়িক বিরোধ। লোহা-ভাঙারি ব্যবসা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল ভুক্তভোগী ও হামলাকারীদের মধ্যে। এর সঙ্গে দলের কোনো আদর্শগত সম্পর্ক নেই। কেন্দ্রীয় বা মহানগর পর্যায়ের কেউ এ বিষয়ে কিছু জানত না।”
রিজভী হুঁশিয়ার করে বলেন, “ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তারা পার পাবে না। তারা গা ঢাকা দিলেও বিচার নিশ্চিত করা হবে। এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন কাজ করতে সাহস না পায়।”
একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “আমরা ভুলে যাইনি রাজশাহী বা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের রগ কাটা কিংবা বিনোদপুর গ্রামে বাস থেকে তুলে ছাত্রদল নেতাকে হত্যা করার ঘটনা। জনগণও আপনাদের সেই নৃশংসতা ভুলে যায়নি।”
রিজভীর বক্তব্য অনুযায়ী, বিএনপি অস্বীকার করছে যে এ ধরনের সহিংসতা দলীয় সিদ্ধান্ত বা আদর্শের অংশ এবং দল স্বতঃস্ফূর্তভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে—তবে সরকারপন্থী রাজনৈতিক দল এই ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে।