বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে গেলেও তাঁর রেখে যাওয়া সহযোগী ও প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা এখনো সক্রিয়। তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।
বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কলেজ পাড়ায় তরুণ গবেষক ও দশম শ্রেণির ছাত্র আহনাফ বিন আশরাফ নাবিলকে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। রিজভী জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে “আমরা বিএনপি পরিবার” নাবিলকে শুভেচ্ছা জানায়।
তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকতে রক্তপাত ও দমননীতির আশ্রয় নিয়েছেন। পাসপোর্ট দপ্তর থেকে সবুজ সংকেত দিয়ে প্রশাসনের যেসব কর্মকর্তা ও নেতাদের অপরাধে সম্পৃক্ততা ছিল, তাঁদের বিদেশ যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, প্রশাসনের ভেতরে এখনো পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লোকজন রয়েছে।”
রিজভী আরও বলেন, “জনগণের ঊর্ধ্বে কোনো শক্তি নেই। যত ষড়যন্ত্রই হোক, শেষ পর্যন্ত তা পরাজিত হবে এবং অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র ফিরবে। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রেখে দেশ পরিচালিত হবে।”
গণতান্ত্রিক চর্চা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের অবস্থান থেকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির অংশ। একে শুধু কাদা ছোড়াছুড়ি বলা যাবে না। এই গণতন্ত্রের জন্য গত ১৬ বছরে অসংখ্য আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে। শেখ হাসিনা এই মূল চালিকাশক্তি কেড়ে নিয়েছেন।”
জুলাই সনদ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, নির্বাচিত সংসদ ছাড়া কোনো প্রস্তাব বা সনদকে আইন হিসেবে ধরা যায় না। তা করলে আইনের শাসনের জন্য লড়াইয়ের চেতনাকে দুর্বল করা হবে।
প্রতিভাবান ছাত্র নাবিল সম্পর্কে রিজভী বলেন, “অল্প বয়সে তাঁর উদ্ভাবনী চিন্তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তারেক রহমান তাঁর প্রতিভা আবিষ্কারের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পরে আমরা আর্থিক সহায়তাও দিয়েছি।”
নাবিল বর্তমানে “গার্ডিয়ান এঞ্জেল” নামের একটি অ্যাপ তৈরি করছেন। এতে নারী ও শিশু সুরক্ষা থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাসহ মোট ১৯ ধরনের সেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।