বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি) জানিয়েছে, দেশের ১১৯টি নদী পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে ৭৩টি পয়েন্টে পানির স্তর বেড়েছে এবং ৪৩টি পয়েন্টে কমেছে। পাঁচটি পয়েন্টে পানির স্তর অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে কোন নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে না।
শুক্রবার এক বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়। বুলেটিনে বলা হয়েছে, “সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ছে। আগামী এক দিন এই প্রবণতা স্থিতিশীল থাকতে পারে, এরপর দুই দিন কমতে শুরু করবে।” এ অঞ্চলে আগামী তিন দিন মাঝারি থেকে মাঝারি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথাও জানানো হয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানির স্তরও বাড়ছে, এবং এই ধারা আগামী চার দিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এই নদীগুলো বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির ধারা আগামী পাঁচ দিন অব্যাহত থাকতে পারে, এমন পূর্বাভাস দিয়েছে এফএফডব্লিউসি।
চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী ও ফেনী নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে, অপরদিকে হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি কমছে। তবে সব নদীর পানিই বিপদসীমার নিচে রয়েছে।
এই নদীগুলোর পানি আগামী ২৪ ঘণ্টা স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং এরপর দুই দিন ধরে বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী তিন দিন এই বেসিনে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
বুলেটিনে আরও জানানো হয়, এখন পর্যন্ত দেশের কোনো নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। তবে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সতর্কতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।