চলতি ঈদ-উল-আযহায় কাঁচা চামড়ার দাম গত বছরের তুলনায় বেশি বলে দাবি করেছেন শিল্প উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। তিনি জানান, গণমাধ্যমে দাম কমার যে তথ্য প্রচার হচ্ছে, তা বিভ্রান্তিকর।
রোববার রাতে রাজধানীর পোস্তাগোলা কাঁচা চামড়ার পাইকারি বাজার পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, “শুধুমাত্র অপর্যাপ্ত লবণ দেওয়া কিংবা আধা-পচা চামড়ার ক্ষেত্রেই কম দাম পাওয়া যাচ্ছে। ভালোভাবে লবণাক্ত করা চামড়ার দাম যথাযথভাবে পাওয়া যাচ্ছে।”
সরকার এ বছর রাজধানীতে সঠিকভাবে লবণ দেওয়া গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৬০-৬৫ টাকা এবং রাজধানীর বাইরে ৫৫-৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে।
শেখ বশির উদ্দিন বলেন, “অপর্যাপ্ত লবণ দেওয়া বা লবণ না দেওয়া চামড়ার মূল্য কম। খুচরা ব্যবসায়ীরা যদি পণ্যে যথাযথ লবণ না দেন, তাহলে তার দায় সরকার নেবে না।”
তিনি আরও বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়া ও মূলধারার গণমাধ্যমে দাম কমার যে তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, তা সঠিক নয়। এতে বাজারে অযথা বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।”
অন্যদিকে, মৌসুমী খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পাইকাররা সরকারি নির্ধারিত মূল্য মানছেন না। তাদের অভিযোগ, বাজারে একটি সিন্ডিকেট ইচ্ছাকৃতভাবে দাম কমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে।
বেশ কিছু মৌসুমী ব্যবসায়ী দাবি করেছেন, গত বছরের তুলনায় এবার চামড়ার দাম কিছুটা কম।
ঈদের দিন পোস্তাগোলা বাজারে গরুর চামড়ার দাম ছিল আকার ভেদে ৪০০ থেকে ৮৫০ টাকার মধ্যে। ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে ১০ টাকায়।
এ নিয়ে মাঠপর্যায়ের ব্যবসায়ী এবং সরকারি কর্তৃপক্ষের মধ্যে মতবিরোধ স্পষ্ট হলেও সরকার বলছে, বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে নজরদারি অব্যাহত থাকবে।