আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দলকে সঠিকভাবে প্রস্তুত করাই এখন মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খান। তাঁর মতে, দ্বিপাক্ষিক সিরিজে জেতার চেয়ে আইসিসি টুর্নামেন্টে সাফল্যই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহতে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
রশিদ বলেন, “প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। আমরা কেবল আনন্দ করার জন্য আসিনি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে কীভাবে আমরা পরবর্তী বিশ্বকাপের জন্য একটি সুষম ও শক্তিশালী দল হয়ে উঠতে পারি।”
সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সুযোগ কম ছিল। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের পর দীর্ঘ বিরতিতে তারা খেলেছিল পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে নিয়ে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ। এরপর এশিয়া কাপে অংশ নেয় দলটি।
রশিদ বলেন, “আমরা সত্যি বলতে খুব বেশি টি-টোয়েন্টি খেলিনি। শেষবার বিশ্বকাপে খেলার পর সাত-আট মাস পর আবার দল হিসেবে একত্রিত হয়েছি। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো, দল হিসেবে আরও ভালো হওয়া—এসবের জন্য সময় প্রয়োজন।”
তিনি জানান, বিশ্বকাপকে ঘিরে দলের প্রস্তুতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর ভাষায়, “এখন হার বা জিত তেমন বড় বিষয় নয়। যদি আমরা এখন জিতি কিন্তু বিশ্বকাপে ব্যর্থ হই, সেটা বেশি কষ্টের। আবার এখন হারলেও যদি বিশ্বকাপে ভালো করি, সেটাই আসল অর্জন।”
রশিদ অতীত অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “২০২৪ বিশ্বকাপের আগে আমরা অনেক ম্যাচ হেরেছিলাম। কিন্তু পরে ঘুরে দাঁড়িয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছাই। ২০২৩ বিশ্বকাপের দিকেও তাকান, পাকিস্তানের কাছে তিন ম্যাচের সিরিজে হেরেছিলাম, ভারতের বিপক্ষে টানা দুটি ম্যাচ হেরেছিলাম। কিন্তু পরে ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছি। এসব থেকেই শেখার অনেক কিছু আছে।”
অধিনায়ক হিসেবে রশিদ মনে করেন, দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জেতার চাপের চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো দলকে প্রস্তুত করা এবং আইসিসি টুর্নামেন্টে সাফল্য নিশ্চিত করা।