আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রশিদ খান বলেছেন, তাদের দলকে ‘এশিয়ার দ্বিতীয় সেরা দল’ বলা গণমাধ্যম ও সমর্থকদের তৈরি ধারণা, যা তারা নিজেরা দাবি করেননি। পারফরম্যান্সের ওপরই এসব মূল্যায়ন নির্ভর করে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
বুধবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন রশিদ।
তিনি বলেন, “মানুষ বলে ‘এশিয়ার দ্বিতীয় সেরা দল’। আমরা সেটা বলিনি। অতীতে পারফরম্যান্সের কারণে হয়তো সেই ট্যাগ এসেছে। ভবিষ্যতে যদি ভালো না করি, তাহলে তিন, চার বা ছয় নম্বরে চলে যাব। এটাই বাস্তবতা।”
আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক আইসিসি টুর্নামেন্ট রেকর্ড তুলে ধরেন তিনি। ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল দলটি। ২০২৩ বিশ্বকাপে ১০ দলের মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে শেষ করে তারা, যেখানে পয়েন্টে পাকিস্তানের সমান ছিল। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ডকে হারালেও বাংলাদেশ ও পাকিস্তান কোনো জয় পায়নি।
তবে সদ্য শেষ হওয়া এশিয়া কাপে আফগানিস্তান গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে যায়। হংকংকে হারানোর পর বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে বিদায় নেয় দলটি।
‘এশিয়ার দ্বিতীয় সেরা দল’ ট্যাগ নিয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে রশিদ বলেন, “গণমাধ্যম এই ধরনের বিষয় সামনে আনে। অনেকে মজা করে এসব নিয়ে কথা বলে। কাল যদি আমরা ভালো খেলি, আবার বলা হবে আমরা এশিয়ার সেরা। সবকিছু নির্ভর করে মাঠের পারফরম্যান্সের ওপর।”
আরো পড়ুন: দ্বিপাক্ষিক সিরিজের চেয়ে আইসিসি টুর্নামেন্টে নজর দিতে চান রশিদ খান
রশিদ আরও বলেন, “আমি যদি আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর বোলারও হই, তার মানে এই নয় যে কাল ৫ বা ১০ উইকেট পাব। প্রতিদিন আমাকে নতুন করে পারফর্ম করতে হয়। দলের জন্য এক উইকেট নেওয়াই অনেক বড় বিষয় হতে পারে। তাই আমরা এসব ট্যাগ মাথায় রাখি না। পারফর্ম করলে সবাই আপনাকে মূল্যায়ন করবে, না করলে নিচে নামবে।”
এ সময় তিনি বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটারকে বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। নিয়মিত অধিনায়ক লিটন দাসের অনুপস্থিতি বড় ক্ষতি বলে মনে করেন রশিদ। একইসঙ্গে এশিয়া কাপে সাইফ হাসানের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন তিনি।
রশিদ বলেন, “লিটন দাস বাংলাদেশের সেরা ওপেনারদের একজন। তার অনুপস্থিতি দল অবশ্যই অনুভব করবে। আর সাইফ হাসান যেভাবে খেলেছে, সেটি ছিল অসাধারণ। তার ইতিবাচক মানসিকতা ও আত্মবিশ্বাসই তাকে সাফল্য এনে দিয়েছে। তিনি বাংলাদেশের জন্য দারুণ এক সংযোজন।”
অধিনায়ক হিসেবে রশিদের বার্তা স্পষ্ট—অতীত সাফল্য নয়, বর্তমান পারফরম্যান্সই আসল।