রংপুর নগরীর একটি এলপিজি গ্যাস স্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটনায় একজন নিহত এবং অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পরিমল কুমার সরকার জানান, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এই তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
রংপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক বাদশা মাসুদুল আলম জানান, সাত দিন আগে গ্যাস স্টেশনটির ট্যাংকারে একটি গ্যাস লিকেজ শনাক্ত করা হয়। এরপর কর্তৃপক্ষ গ্যাস সরবরাহসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
শনিবার সকালবেলা ইঞ্জিনিয়ার শহাগসহ চারজন কর্মী ট্যাংকারটি মেরামতে আসেন। দুপুর ১টার দিকে মেরামতের সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে, এতে ২১ জন আহত হন।
আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে ইঞ্জিনিয়ার শহাগ মারা যান।
বিস্ফোরণে গ্যাস স্টেশনে থাকা অন্তত ২০টি যানবাহন—including অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল—ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এছাড়া, গ্যাস স্টেশনের আশেপাশে থাকা ভবনের জানালার কাঁচ ও দরজাও বিস্ফোরণে ভেঙে যায়।
রংপুর সেনানিবাসের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার সোবহান মোল্লা জানান, বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে সেনাবাহিনীর একটি দল তদন্ত করছে।
এ দুর্ঘটনা ঘিরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সতর্কতা হিসেবে স্থানীয় প্রশাসন গ্যাস স্টেশনের চারপাশ ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।