রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার আমাইপুর সোনারপাড়া গ্রামে সন্দেহভাজন এনথ্রাক্সের ঘটনা ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের Disease Control Officer ডা. এমএ হালিম লাভলু জানান, বর্তমানে সাতজন রোগী এনথ্রাক্স সন্দেহ নিয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। পাঁচ জনের শারীরিক অবস্থা উন্নত হলেও দুইজন এখনও উপসর্গ দেখাচ্ছেন।
স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং প্রাণিসম্পদ অফিস জানিয়েছে, এই আতঙ্কের সূত্রপাত ঘটে কয়েকজন বাসিন্দার ত্বকে ক্ষত দেখা দেওয়ার পর। আক্রান্তরা ২০ সেপ্টেম্বর রহমতপুর বাজার থেকে কেনা গরুর মাংস খেয়েছিলেন। পরবর্তীতে ফ্রিজে রাখা অবশিষ্ট মাংসের পরীক্ষায় নিশ্চিত হয় যে, হত্যা করা গরুটি এনথ্রাক্সে আক্রান্ত ছিল। এই খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে উদ্বেগ সৃষ্টি করে।
Institute of Epidemiology, Disease Control and Research (IEDCR) আরও মানুষ থেকে নমুনা গ্রহণ করেছে যারা একই মাংস খেয়েছিলেন। পরীক্ষায় দুইজনের এনথ্রাক্সের উপসর্গ ধরা পড়েছে।
ডা. লাভলু সতর্ক করে বলেন, এনথ্রাক্স দ্রুত চিকিৎসা না করলে প্রায় ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে প্রাণঘাতী হতে পারে। তবে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রোগীরা ভালো সাড়া দিচ্ছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আলতাব হোসেন স্থানীয়দের অসুস্থ প্রাণীর মাংস খাওয়া এড়াতে বলেছেন। তিনি বলেন, সংক্রমিত প্রাণীর মৃতদেহ অন্তত ছয় ফুট গভীরে মাটি দেওয়া উচিত যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়।
জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগ মেলামেশা এবং স্থানীয় মাংস বিক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।
ডা. শাহিনা আখতার, রংপুর জেলার সিভিল সার্জন জানান, মিঠাপুকুর, পীরগাছা ও কাউনিয়ার উপজেলায় ২৮টি এনথ্রাক্স মামলা নিশ্চিত হয়েছে। তিনি আশ্বাস দেন যে, সকল উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মী উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে এবং এই মুহূর্তে বিস্তৃত আতঙ্কের প্রয়োজন নেই।