ডেইলি প্রতিদিনের বাণী রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২২ মে ২০২৫, ০০:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাঙামাটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য ভাঙাকে কেন্দ্র করে সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। ভাস্কর্যটি শহরের সার্ভার স্টেশন এলাকায় স্থাপিত ছিল, যা গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে ভাঙা হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
স্থানীয় একটি সংগঠন ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা’ দাবি করেছে, তারা দীর্ঘদিন ধরেই ভাস্কর্যটি অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “এই ভাস্কর্য ফ্যাসিবাদের প্রতীক” এবং তারা এর অপসারণের জন্য প্রশাসনকে একাধিকবার আহ্বান জানালেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে তারা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে এটি সরিয়ে দিয়েছেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। অনেকেই ঘটনাটিকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও নাগরিক অংশগ্রহণ হিসেবে দেখলেও, আরেক অংশ এটিকে আইনবহির্ভূত, উসকানিমূলক এবং ঐতিহাসিক মর্যাদার প্রতি অসম্মান হিসেবেই দেখছেন।
এদিকে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ভাস্কর্যটি ভাঙা শুরু হওয়ার পর পাঁচ দিনের মধ্যে ভাঙচুর সম্পন্ন হলেও প্রশাসন দৃশ্যমানভাবে কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলছেন, “এমন কোনো স্থাপনা যদি স্থানীয়ভাবে বিতর্কিত হয়ে ওঠে, তবে সেটি আইন মেনে সমাধানের চেষ্টা করা উচিত। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।”
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বা মূর্তি ঘিরে পূর্বে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তবে সরকার সব সময়ই বলে এসেছে যে, এটি কোনো ধর্মীয় প্রতীক নয় বরং ইতিহাস ও সংস্কৃতির স্মারক।
এ ঘটনার পর এখন স্থানীয় পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে নজরদারির দাবি উঠেছে।