সাগরে নিম্নচাপ কেটে গেলেও দেশের আকাশ এখনও মেঘে ঢেকে আছে। চলমান বৃষ্টিপাতের পেছনে রয়েছে মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ৪ জুন পর্যন্ত সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ও কোথাও কোথাও ভারি বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে বজ্রঝড় ও দমকা হাওয়ার আশঙ্কাও।
রোববার (১ জুন) আবহাওয়া অধিদপ্তর একাধিক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রাতের মধ্যেই দেশের ১০টি অঞ্চলে বজ্রসহ ঝড় হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট। এসব অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, রাত ১০টার মধ্যে বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার এবং খুলনা বিভাগের দক্ষিণাঞ্চলে তীব্র বজ্রপাত ও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায়ও এমন আবহাওয়া দেখা দিতে পারে।
আগামী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২ জুন সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেটের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
৩ জুনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক এলাকায় এবং ঢাকা ও বরিশালের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। একইভাবে, ৪ জুন রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু এলাকায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামের দুই-একটি স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, আবহাওয়ার এমন আচরণ পুরোপুরি মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার কারণে। যদিও বৃষ্টিপাত অনেকের জন্য স্বস্তির, তবে তা জনজীবনে দুর্ভোগও তৈরি করতে পারে। তাই জনসাধারণকে সতর্ক ও প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।