ডেইলি প্রতিদিনের বাণী রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২৫, ১১:৩৬
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং-এর সঙ্গে বিশাল অঙ্কের বিমান ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কাতার। আজ বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির উপস্থিতিতে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তির আওতায় কাতার এয়ারওয়েজ বোয়িং থেকে ১৬০টি বিমান কিনবে, যার আনুমানিক মূল্য ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। এই ঘোষণার পরপরই বোয়িংয়ের শেয়ারমূল্য ১.৭ শতাংশ বেড়ে যায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “এটি ২০০ বিলিয়নেরও বেশি—১৬০টি বিমান, দারুণ ব্যাপার।” তিনি বোয়িং সিইও কেলি অর্টবার্গকে উদ্দেশ করে বলেন, “এটা তো রেকর্ড, কেলি—বোয়িংকে অভিনন্দন।”
এই চুক্তিকে বোয়িংয়ের জন্য এক নতুন আশার বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২০২৪ সালের শুরুতেই আলাস্কা এয়ারলাইনসের একটি ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানের দরজা খুলে যাওয়ার ঘটনা, শ্রমিক ধর্মঘট এবং শুল্ক-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে প্রতিষ্ঠানটি সংকটে পড়েছিল।
গত বছর বোয়িং মাত্র ৩৪৮টি বিমান সরবরাহ করতে সক্ষম হয়, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৪ শতাংশ কম। এছাড়া ২০২৪ সালের গ্রস অর্ডারও ছিল মাত্র ৫৬৯টি—২০২৩ সালের তুলনায় যা ৬০ শতাংশ কম।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চুক্তি বোয়িংয়ের জন্য কেবল আর্থিক স্বস্তি নয়, বরং বৈশ্বিক আস্থার প্রতীক। তবে বাজার বিশ্লেষকদের মতে, এত বড় চুক্তি হলেও অনেক সময় পরবর্তীতে অর্ডার বাতিল হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়।
অপরদিকে, ট্রাম্প প্রশাসন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতির অংশ হিসেবে বোয়িংয়ের পক্ষে বড় চুক্তি সংগ্রহের কৌশল নিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের একটি এয়ারলাইনও ১০ বিলিয়ন ডলারের বোয়িং বিমান অর্ডারের ঘোষণা দিয়েছে।
বোয়িংয়ের জন্য এই চুক্তি এক বড় রিলিফ হয়ে এলো বলে মত বিনিয়োগ বিশ্লেষকদের। এখন দেখার বিষয়, প্রতিষ্ঠানটি এই আস্থার প্রতিফলন ঘটাতে কতটা কার্যকর হতে পারে।