পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) এবারের আসরে বাংলাদেশের তরুণ স্পিনার রিশাদ হোসেন হয়ে উঠেছেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তিন ওভারে মাত্র ৩৪ রান খরচ করে নিয়েছেন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট, যা তার দলকে জয়ের পথে বড় সহায়তা করে।
অন্যদিকে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের দিনটা ছিল হতাশার। বল হাতে তিন ওভারে ২৭ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থাকার পাশাপাশি ব্যাট হাতেও রান পাননি তিনি। এই নিয়ে টানা দুটি ম্যাচে তিনি ডাক মারলেন। ফলে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডাকের (৩২টি) রেকর্ড এখন সাকিবের দখলে।
রিশাদ তার প্রথম ওভারে কিছুটা ব্যয়বহুল হলেও পরের দুই ওভারে দুটি ছক্কার পরপরই দুটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে বাজিমাত করেন। মিডল ওভারে লেগ স্পিনারদের যেভাবে দায়িত্ব পালন করা উচিত, রিশাদ ঠিক তেমনভাবেই নিজের কাজ করেছেন।
পিএসএলে এ পর্যন্ত সবচেয়ে সফল বিদেশি স্পিনার হিসেবে উঠে এসেছেন রিশাদ। ছয় ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২। শাদাব খান, ইমাদ ওয়াসিম কিংবা আবরার আহমেদের মতো স্পিনারদের তুলনায় কম ম্যাচ খেলেও উইকেটের হিসেবে বেশ এগিয়ে রয়েছেন তিনি।
ম্যাচের আগে রিশাদ দলকে বাংলায় উৎসাহিত করে বলেন, “আমাদের একটাই লক্ষ্য, সেটা হলো চ্যাম্পিয়ন হওয়া।” পরে সেই বক্তব্য উর্দুতে অনুবাদ করেন সাকিব। দলের প্রতি আত্মবিশ্বাস ও জয়ের লক্ষ্য স্পষ্ট করেন তরুণ এই লেগ স্পিনার।
অন্যদিকে সাকিবের বোলিং বিশ্লেষণেও বিশেষ কিছু পাওয়া যায়নি। প্রথম ওভারে দুই রান দিয়ে শুরু করলেও পরবর্তী ওভারগুলোতে নিয়ন্ত্রণ হারান তিনি। ইকোনমি ছিল নয়, যা একজন সিনিয়র স্পিনারের জন্য বিব্রতকর।
এই ম্যাচে আবারও সুযোগ পাননি আরেক বাংলাদেশি অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। ধারণা করা হচ্ছে, ফাইনালের আগে নতুন কাউকে একাদশে অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা খুবই কম।
একই ম্যাচে বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটারের এমন ভিন্নধর্মী পারফরম্যান্স দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। রিশাদের সাফল্যে যেমন উচ্ছ্বাস, তেমনি সাকিবের ধারাবাহিক ব্যর্থতা নিয়ে চিন্তিত ভক্তরা।
শেষ পর্যন্ত রিশাদ কি পারবেন পিএসএলের সেরা স্পিনার হয়ে উঠতে? আর সাকিব কি ফিরতে পারবেন নিজের চেনা ছন্দে? উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হবে ফাইনালের দিকেই।