যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আরও জোরালো হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার নিউইয়র্ক, শিকাগো, ডালাস, আটলান্টা সহ বিভিন্ন শহরে নতুন করে বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছে।
এনবিসি নিউজের বরাতে জানা যায়, শুক্রবার থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসে শুরু হওয়া এ বিক্ষোভ সোমবার পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবেই চলেছে। তবে কিছু বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষও হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এর অভিযানের বিরুদ্ধে এবং সরকারের অভিবাসন নীতির প্রতিবাদে একাধিক র্যালি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। “নো কিংস” নামক এক আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার আরও বড় আকারে বিক্ষোভের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেসে সোমবার রাতে কয়েক শত মার্কিন মেরিন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আরও সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। পাশাপাশি ন্যাশনাল গার্ডের সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ৪ হাজার করা হয়েছে, যদিও ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসাম ও লস অ্যাঞ্জেলেস মেয়র ক্যারেন ব্যাস এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন।
ট্রাম্প এক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে দাবি করেছেন, “আমি সেনা না পাঠালে লস অ্যাঞ্জেলেস আজ আগুনে পুড়ে যেত।” তবে গভর্নর নিউসাম বলেন, ট্রাম্প ইচ্ছাকৃতভাবে পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করছেন, এতে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ আরও কঠিন হয়ে পড়ছে।
মেয়র ক্যারেন ব্যাস জানান, সোমবার ১০০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। তবে অধিকাংশ বিক্ষোভ ছিল শান্তিপূর্ণ।
রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মূলত শান্তিপূর্ণ হলেও কয়েকটি ঘটনায় সংঘর্ষ হয়েছে। কিছু বিক্ষোভকারী পাথর নিক্ষেপ করেছেন, মহাসড়ক অবরোধ করেছেন এবং গাড়িতে আগুন ধরিয়েছেন। কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যেমন অ্যাপল স্টোর ও সিভিএস ফার্মেসি লুটপাটের শিকার হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে টিয়ার গ্যাস, পিপার বল ও ফ্ল্যাশ-ব্যাং গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার নিউইয়র্ক, আটলান্টা, লুইসভিল, কেনটাকি এবং ডালাসে নতুন করে বিক্ষোভ হয়েছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, সোমবার অন্তত নয়টি শহরে নতুন করে বিক্ষোভ হয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে নিউইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া ও সান ফ্রান্সিসকো।
অস্টিন, টেক্সাসেও পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সেখানে পুলিশ নন-লেথাল অস্ত্র ব্যবহার করেছে এবং বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে।