একজন ব্যক্তি যেন আজীবন নয়, বরং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্তই দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রস্তাবিত ১০ বছরের সীমায় অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সম্মতি জানিয়েছে।
রবিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐক্য কমিশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফা রাজনৈতিক সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে কেউ কতবার থাকতে পারবেন, এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন সংস্কার কমিশন দুই মেয়াদের সীমা প্রস্তাব করেছে। তবে বর্তমানে মেয়াদ ও সময়কাল নিয়ে জটিলতা রয়েছে। ‘দুইবার’ বলতে একই মেয়াদে দুইবার শপথ নেওয়ার বিষয়ও থাকতে পারে। ফলে প্রস্তাবটি আরও স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।”
সাকি জানান, নতুন এক প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী পদে সর্বোচ্চ ১০ বছর দায়িত্ব পালনের সময়সীমা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। এই প্রস্তাবের ভিত্তিতে অধিকাংশ দল একমত হয়েছে, যদিও তিনটি দল ভিন্ন মত দিয়েছে।
তিনি আরও জানান, নারীর সংসদীয় প্রতিনিধিত্ব, সরাসরি নির্বাচন, সাংবিধানিক পদে নিয়োগের জন্য কমিশন গঠন, অনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠন, সংসদের দুই কক্ষের ভারসাম্য, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এবং রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্যসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কিছু বিষয়ে ঐক্যমত্য এসেছে, কিছু বিষয়ে মতভেদ রয়ে গেছে।
গণসংলাপের মাধ্যমে একটি বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠার পথেই বাংলাদেশ এগোচ্ছে বলে মনে করেন সাকি। তিনি বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে আমরা যতটা সম্ভব ঐকমত্য গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। আগামী বুধবার আবারো পরবর্তী বৈঠক হবে। আশা করছি, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন আরও সুদৃঢ় হবে।”