হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পিপা স্কট আর নেই। গত ২২ মে ৯০ বছর বয়সে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা মনিকায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুর কারণ ছিল জন্মগত হৃদরোগজনিত ব্যর্থতা। তার মেয়ে মিরান্ডা টোলম্যান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পিপা স্কট অভিনয়জীবনের শুরুতেই বাজিমাত করেন জন ফোর্ড পরিচালিত ক্লাসিক সিনেমা দ্য সার্চার্স (১৯৫৬) তে। সেখানে তিনি নাতালি উডের চরিত্রের এক অপহৃত বোনের ভূমিকায় অভিনয় করেন। এরপর আন্টি ম্যাম সিনেমায় রোজালিন্ড রাসেলের চরিত্রের সেক্রেটারির ভূমিকায়ও স্মরণীয় অভিনয় করেন তিনি।
তার চলচ্চিত্রের তালিকায় আরও রয়েছে মাই সিক্স লাভস (১৯৬৩), পেটুলিয়া (১৯৬৮), কোল্ড টার্কি (১৯৭১) এবং দ্য সাউন্ড অব মার্ডার (১৯৮২)।
টেলিভিশনেও ছিল তার সমান জনপ্রিয়তা। দ্য টোয়াইলাইট জোন এর “The Trouble With Templeton” পর্বে, দ্য ডিক ভ্যান ডাইক শো এর “Buddy Sorrell: Man and Boy” পর্বে এবং এনবিসির জিগসো জন সিরিজে তার অভিনয় দর্শকদের মনে দাগ কাটে।
পিপা স্কটের জন্ম ১৯৩৪ সালের ১০ নভেম্বর লস অ্যাঞ্জেলেসে। তার বাবা অ্যালান স্কট ছিলেন অস্কার মনোনীত চিত্রনাট্যকার এবং মা ছিলেন মঞ্চ অভিনেত্রী। পরিবারের একজন সদস্য ম্যাকার্থি যুগে ব্ল্যাকলিস্টেডও হয়েছিলেন।
অভিনয় জীবনের পাশাপাশি মানবাধিকার রক্ষায়ও তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন The International Monitor Institute, যা বিভিন্ন যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই সংস্থা এখনও ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মানবাধিকার গবেষণায় অবদান রেখে চলেছে।
এ ছাড়া, জাতিসংঘ, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও আন্তর্জাতিক রেসকিউ কমিটির জন্য বিভিন্ন তথ্যচিত্র প্রযোজনা করেছেন তিনি। পিবিএসের ফ্রন্টলাইন সিরিজের The World’s Most Wanted Man এবং King Leopold’s Ghost তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে অন্যতম।
পিপা স্কট তার দুই মেয়ে মিরান্ডা ও জেসিকা এবং পাঁচজন নাতি-নাতনিকে রেখে গেছেন।
চলচ্চিত্র ও মানবাধিকার অঙ্গনে তার অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।