জনপ্রিয় গেম ‘Phasmophobia’ এবার রূপ নিচ্ছে বড় পর্দার হরর ছবিতে। ভয় এবং রহস্যে মোড়া এই গেমটি এবার পরিণত হচ্ছে এক পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্রে। নির্মাণের দায়িত্ব নিয়েছে খ্যাতনামা হরর প্রযোজনা সংস্থা ব্লামহাউস, যারা এর আগেও ‘উল্ফম্যান’, ‘দ্য উইমেন ইন দ্য ইয়ার্ড’ ও ‘ড্রপ’-এর মতো বেশকিছু সফল হরর ফিল্ম উপহার দিয়েছে। এবারের প্রজেক্টে তাদের সঙ্গে রয়েছে জেমস ওয়ানের অ্যাটমিক মনস্টার এবং গেম নির্মাতা কাইনেটিক গেমস।
২০২০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ফাসমোফোবিয়া’ গেমটি মূলত একাধিক খেলোয়াড়ের একটি দলকে নিয়ে গঠিত যারা পরিত্যক্ত স্থানগুলোতে অতিপ্রাকৃত অস্তিত্ব শনাক্তের চেষ্টা করে। টুইচ স্ট্রিমিং-এ জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর গেমটি বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে। এই গেমে খেলোয়াড়রা বিভিন্ন প্রকার অশরীরী সত্তার উপস্থিতি শনাক্ত করতে পারে— যেমন বংশী, জিন, পোলটারগাইস্ট, ইয়োকাই, ডেমন এবং রেইথ।
চলচ্চিত্রে গেমের রহস্যময় এবং আতঙ্ককর উপাদানগুলোকে কীভাবে রূপ দেওয়া হবে, তা নিয়ে সিনেমা প্রেমীদের মধ্যে ইতিমধ্যেই কৌতূহল দেখা দিয়েছে। ব্লামহাউসের উদ্যোগের মাধ্যমে ‘দ্য কনজুরিং’ সিরিজের অবসানের পর নতুন এক ভৌতিক ফ্র্যাঞ্চাইজির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
কাইনেটিক গেমসের পরিচালক এবং ‘ফাসমোফোবিয়া’ গেমের প্রধান ডেভেলপার ড্যানিয়েল নাইট এক বিবৃতিতে জানান, “এটি আমাদের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত। এই প্রজেক্টে ব্লামহাউস ও অ্যাটমিক মনস্টারের সঙ্গে কাজ করতে পারা আমাদের জন্য দারুণ একটি সুযোগ। আমরা আশা করছি, চলচ্চিত্র সংস্করণেও গেমের মতোই দর্শকরা আতঙ্কের গভীরে তলিয়ে যাবেন।”
তবে সিনেমাটি কবে মুক্তি পাবে, কে পরিচালনা করবেন বা কারা অভিনয় করবেন— এসব বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানানো হয়নি। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ধারণা করা হচ্ছে, এটি ২০২5 সালের মধ্যেই মুক্তি পাবে এবং হরর সিনেমার একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘটাবে।
হলিউডের ‘দ্য বিজনেস অফ ফিয়ার’ ইভেন্টে এই ঘোষণা আসার পর থেকেই ফ্যানদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গেম থেকে পছন্দের ভূত-প্রেত ক্যারেক্টার চলচ্চিত্রে দেখতে চাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন।
ভূতের গল্প, গা ছমছমে পরিবেশ এবং অজানা আতঙ্কের এক দুর্দান্ত মিশ্রণ ‘ফাসমোফোবিয়া’। সিনেমার মাধ্যমে এই গেমের আতঙ্ক যদি বাস্তব রূপ নেয়, তবে এটি হতে পারে পরবর্তী ‘হরর ব্লকবাস্টার’। তবে শেষ কথা বলবে সময়ই।
সূত্র: ডেডলাইন